যেন তেন প্রকারে ঝাড়খণ্ডে ‘গবাদি পশু পাচার’ পুলিশকে রুখতে হবে। তা না হলে থানাদার থেকে জেলার পুলিশ সুপার, কেউই রেহাই পাবেন না বলে হুমকি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। পাশাপাশি জানালেন, এই ধরনের পাচার রুখতে সাধারণ মানুষ যেন কোনও ভাবেই আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেন।
ঝাড়খণ্ডে গো-ভক্তদের হামলায় গত সপ্তাহে এক জনের প্রাণ গিয়েছে। গণপ্রহারে গুরুতর জখম অন্য জন হাসপাতালে ভর্তি। গিরিডির উসমান আনসারির বিরুদ্ধে গো-বধের আওয়াজ তুলে হামলাকারীরা তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করে। বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন। গত কাল রামগড়ের রাস্তায় গাড়িতে মাংস নিয়ে যাওয়ার অপরাধে বছর পঞ্চাশের আলিমুদ্দিনকে গণপিটুনিতে হত্যা করে হামলাকারীরা।
দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। যেই হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করে, দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেওয়া হবে।’’ আম-জনতা তথা হামলাকারীদের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘কোনও অবস্থায় আইন হাতে তুলে নেবেন না।’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি কোনও ভাবে গবাদি পশু পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, তবে সংশ্লিষ্ট থানাদার থেকে পদস্থ পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
‘গবাদি পশু পাচার’ বলতে মুখ্যমন্ত্রী কী বোঝাতে চেয়েছেন?
বিষয়টি রাজ্যের পুলিশকর্তাদের কাছেও স্পষ্ট নয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা সেই গবাদি পশু সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি তা নিয়ে রাঁচীর পুলিশকর্তাদের একাংশ একমত। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুসরণ করে
ঝাড়খণ্ড সরকারও রাজ্যে ‘বেআইনি কষাইখানা’ নিষিদ্ধ করেছে। এরপরেই কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে, হত্যার জন্য বা মাংসের জন্য কোনও গবাদি পশু কেনাবেচা করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে গবাদি পশু বলতে সব ধরনের গবাদি পশু বোঝালেও আসলে যে নিযেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ‘গরু’ তা স্বীকার করেন পুলিশকর্তারা।
এত দিন ঝাড়খণ্ড সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজ্ঞপ্তি রূপায়ণে কোনও নির্দেশ দেয়নি। আজ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস ওই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরোক্ষে সেই কেন্দ্রীয় নির্দেশই রাজ্য জুড়ে জারি করলেন বলে এক পুলিশ কর্তার মন্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy