সিকিম সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনা। —ফাইল চিত্র।
মাসখানেক আগে শেষ হয়েছে ডোকলামে ভারত ও চিনের টানাপড়েন। কিন্তু ফের চিন, ভুটান ও ভারতের সীমান্তে ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে চিনা সেনা।
ত্রিদেশীয় সীমান্তের ডোকলাম মালভূমিকে ভুটানের অংশ বলে মনে করে থিম্পু। কিন্তু বেজিংয়ের দাবি, ওই ভূখণ্ড তাদের। ভুটানের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে দিল্লির। জুন মাসে ওই এলাকায় চিনা সেনা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করায় হস্তক্ষেপ করে ভারতীয় সেনা। ফলে প্রায় দু’মাস ডোকলামে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল ভারত ও চিনের সেনা। সেইসঙ্গে শুরু হয় দু’দেশের বাগ্যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত চিনে ব্রিকস সম্মেলনের কিছু দিন আগে সমঝোতায় পৌঁছয় দু’পক্ষ। ২৮ অগস্ট ডোকলাম থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ও চিন।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল নয়, কথা চাই, দাবি মাদ্রিদের
কিন্তু সেনা সূত্রে খবর, ২৮ অগস্টের পর থেকেই ফের সক্রিয় হয় চিনা সেনা। জুন মাসে যে এলাকায় দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ফের কাজ শুরু করেছে তারা। একটি রাস্তাকে ফের চওড়া করা হচ্ছে। নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে ৫০০ চিনা সেনাও এসেছে। তবে তাদের জন্য ওই এলাকায় কোনও স্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয়নি। চিনা শহর ইয়াটুং ডোকলামের ওই এলাকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। চিনা সেনা ও নির্মাণকর্মীরা সেখান থেকেই সড়কপথে যাতায়াত করছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রের মতে, কূটনৈতিক উত্তাপ চরমে ওঠায় চিন সাময়িক সমঝোতা করেছিল। কিন্তু তারা যে ফের ওই এলাকায় পেশী প্রদর্শনের চেষ্টা করতে পারে তা আঁচ করতে পেরেছিল দিল্লি। ফলে ডোকলাম মালভূমি থেকে নেমে এলেও ওই এলাকা থেকে ভারতীয় সেনা পুরোপুরি সরেনি। ভারতীয় সেনার তৈরি অস্থায়ী পরিকাঠামোও সরানো হয়নি। ফলে প্রয়োজনে ফের ডোকলামে উঠে চিনকে বাধা দিতেই পারে ভারতীয় সেনা।
আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে সেনা কম্যান্ডারদের সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। সেনা সূত্র বলছে, ডোকলামে রাস্তা নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে ৫০০ চিনা সেনা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওই এলাকায় দেড় থেকে দু’হাজার চিনা সেনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy