ভারত-পাক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে লাগাতার উত্তেজনার মধ্যেই নতুন আর এক জটিলতা তৈরি হল চিনকে নিয়ে।
একটি ইংরাজি দৈনিকে প্রকাশ হওয়া খবর অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের লে জেলার ডেমচক এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এ পাশে এসে পড়েছে চিনা সেনা। ভারতের আধা সামরিক বাহিনী আইটিবিপি-র মুখোমুখি পৌঁছে গিয়েছে তারা। ২০১৪ সালে এক বার ডেমচকে ভারতের এলাকায় চিনা সেনার অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছিল। তার পর থেকে এমন ঘটনা এই প্রথম।
মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ভারতের স্বীকৃতি— এই সব ক্ষেত্রেই বেজিংয়ের তরফ থেকে এসেছে একের পর এক বাধা। বস্তুত পাকিস্তানকে নানা রকম ভাবে সমর্থন করে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নেও ভারতের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানকে বাঁচাতে নেমেছিল চিন। ইসলামাবাদও জঙ্গি হামলার শিকার এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তাদের ভূমিকাকে গোটা বিশ্বের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত— এমন মত প্রকাশ করেছিল বেজিং। তার পরে আবার নতুন করে সীমান্ত-জটিলতার সৃষ্টি করল তারা।
ভারত-পাক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে যখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীপাবলির দিনটি কাটিয়েছেন উত্তরাখণ্ডে ভারত-চিন সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম মানা-তে। সেখানে প্রহরারত আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। এর পরেই গত কাল জম্মু-কাশ্মীরের লে এলাকায় এলএসি পেরিয়ে চিনা সেনা ঢুকে পড়ে। বুধবার বিকেলে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল চিনা সেনা। রাত পর্যন্ত সেখানেই ছিল তারা। আজ সকালে চিনা সেনা ফের ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এলএসি বরাবর একটি সেচ প্রকল্পে চিন আপত্তি করছে।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে চিনের। এই বিতর্ককে স্বীকার করেও দু’দেশ যদিও বাণিজ্য ও অন্য অনেক বিষয়ে সম্পর্ক রেখে চলছে। সম্প্রতি ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ও অরুণাচলে দলাই লামার প্রস্তাবিত সফর বেজিংকে চাপের মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে এলএসিতে জটিলতা বাড়াল চিন।
আগামিকাল হায়দরাবাদে দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক। তার আগে নয়াদিল্লির তরফে গোটা বিষয়টি নিয়ে সংযত প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ডেমচকে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ আজ মন্তব্য করেছেন, ভারত ও চিনের সীমান্ত সমস্যা মেটানোর নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। কোনও কিছু ঘটে থাকলে নিশ্চয়ই সেখানে আলোচনা হবে। তবে এখনই এই বিষয়টিকে খুব বড় করে দেখানোর প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy