গোটা দেশে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির (‘ইয়ে ওয়াদা রহা’) নায়ক ঋষি কপূরও টুইট করেন। ছবি: সংগৃহীত।
‘কভি হো না জুদা / হাঁ ইয়ে ওয়াদা রহা…’!
রাহুল দেববর্মনের সুরারোপিত গানটি বেহালা আর চেলোর ছড়ে নিখুঁত বাজাচ্ছেন এক দল চিনা ছেলেমেয়ে। সামনে দাঁড়িয়ে তালে তালে পা ঠুকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং!
উহানে গত দু’দিনের ঘরোয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সেরা বিজ্ঞাপন হয়ে রইল এটিই।
মোদীর গোটা সফরে দু’দিন ধরে বিভিন্ন কূটনৈতিক দৃশ্যের জন্ম হয়েছে। পারস্পরিক কথোপকথনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘ওয়াদা’ও হয়েছে বলে দাবি করছে বিদেশ মন্ত্রক। তারই প্রতীক হিসাবে চিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই হিন্দি গানটিকেই অভ্যর্থনা সঙ্গীত হিসেবে কাজে লাগাল শি সরকার।
গোটা ঘটনায় উচ্ছ্বাস গোপন করেনি সাউথ ব্লক। ডোকলামের সেই দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ুযুদ্ধের পর উয়াহানের চোখ জুড়নো প্রাকৃতিক পরিবেশে মৈত্রীসূচক বলিউড-সঙ্গীত যেন অপ্রত্যাশিত শান্তির জল দিল্লির কাছে। গোটা দেশে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির (‘ইয়ে ওয়াদা রহা’) নায়ক ঋষি কপূরও টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি গর্বিত!
গত কাল উয়াহানের জাদুঘরে মোদীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেই এই মৈত্রীর সুরটি বাঁধা হয়েছিল। দু’দিন ধরে যা অক্ষুণ্ণ থেকেছে। কখনও ইস্ট লেকের নীল জলের পাশে একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেছেন দুই নেতা। কখনও নৌবিহার করেছেন। বিভিন্ন রকম চা তাঁর সামনে রাখা হয়েছে। মুখোমুখি বসে তাই ‘চায়ে পে চর্চাও’ বাদ যায়নি।
আশেপাশে দু’জন অনুবাদক ছাড়া কেউই ছিলেন না নিভৃত আলোচনার এই মঞ্চগুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy