জামা মসজিদের সামনে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হল দিল্লি। দুপুর ২টো নাগাদ জামা মসজিদ থেকে দলিতদের সংগঠন ভীম আর্মির বিশাল মিছিল স্লোগান তুলে রওনা দিয়েছে যন্তরমন্তরের উদ্দেশে। এই বিশাল প্রতিবাদ মিছিলকে শুরুতেই আটকানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল পুলিশ। সকাল থেকেই ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করার জন্য ওত পেতে ছিল। কিন্তু কখনও ভিড়ে মিশে, কখনও পুলিশের হাত ছাড়িয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন তিনি।
এ দিনের মিছিলের জন্য পুলিশের তরফে কোনও অনুমতি মেলেনি। চন্দ্রশেখর যাতে জামা মসজিদে মিছিলে যোগ দিতে না পারেন, তার জন্য জামা মসজিদের গেটে পাহাড়ায় ছিল পুলিশ। এক সময় চন্দ্রশেখরের আটক হওয়ার খবরও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার পরই চন্দ্রশেখর নিজে টুইট করে জানিয়ে দেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। আমি যে কোনও পরিস্থিতিতে যন্তনমন্তর পৌঁছব।’
পুলিশি এত বাধা সত্ত্বেও দুপুরে নামাজ পড়ার পর পুলিশি বাধার তোয়াক্কা না করেই জামা মসজিদ থেকে বিশাল জনস্রোত রওনা দেয়। চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে দিল্লির জামা মসজিদ থেকে দুপুর ২টো নাগাদ রওনা দেয় মিছিল। সামনে ছিলেন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। তাঁর হাতে ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রতিলিপি এবং অম্বেডকরের একটি ছবিও ছিল। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে জামা মসজিদের সমাবেশে ঢুকে পড়েন চন্দ্রশেখর।
আরও পড়ুন: এনআর এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে সারা বাংলা জুড়ে আন্দোলনের ঘোষণা মমতার
অম্বেডকরের ছবি হাতে মিছিলে চন্দ্রশেখর আজাদ।
জামা মসজিদের বাইরে বেরনোর গেট বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদীদের আটকানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু বিশাল জনস্রোতের সামনে পুলিশি বাধা কার্যত ভেঙে পড়ে। জামা মসজিদ থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে মিছিল। এর কিছু পরে দরিয়াগঞ্জের কাছে চন্দ্রশেখরকে আটক করেছিল পুলিশ। তবে চন্দ্রশেখরকে আটক করে রাখতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ভ্যানে তোলার আগে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে মিছিলে ফের তিনি ঢুকে পড়েন।
সহারণপুরে হিংসার ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পরে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁর গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে চন্দ্রশেখর আজাদকে জামিন দেয়।
ছবি: এএফপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy