ইটানগরে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
শুক্রবারের পর ফের শনিবার। উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে এসেপরপর দু’দিন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কালো পতাকা আর বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অসমের চাংসারিতে তাঁর জনসভাতেও থাকল সেই বিক্ষোভের রেশ। সরাসরি বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি বললেন, ‘‘এসি ঘরে বসে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে গুজব ছড়ানোই বিরোধীদের কাজ।’’ পাশাপাশি অসম ও উত্তরপূর্বের বিক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বস্ত করতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই বিল আইনে পরিণত হলে তা কোনও ভাবেই উত্তরপূর্ব ভারতের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে না।’’
লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল দেশের উত্তরপূর্ব ভারত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিক্ষোভের অভিমুখ বিজেপির দিকেই । এই বিল নিয়ে উত্তেজনার জেরে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে অসম গণ পরিষদ। এই বিলের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে উত্তরপূর্বের অন্যান্য রাজ্যগুলির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিও। তাঁদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের ঢল নেমে বিপন্ন করবে উত্তরপূর্ব ভারতের আর্থ সামাজিক কাঠামো।
অসমে পা দিয়েই অবশ্য বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গুয়াহাটিতে একাধিক জায়গায় তাঁকে কালো পতাকা দেখান বিক্ষোভকারীরা । নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনের যৌথ মঞ্চের পাশাপাশি সেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল আহোম ছাত্র সংগঠনও।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভেজাল মদের বলি ৭০, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা
অসমের চাংসারিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার লোকসভা কেন্দ্রের জনসভাতেও মোদীর বক্তব্যে জায়গা করে নিল এই নাগরিকত্ব বিল। অসমবাসীকে আশ্বস্ত করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষের স্বার্থ দেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সঠিক তদন্ত এবং সুপারিশের পরই আমরা নাগরিকত্ব দেব। কোনও ভাবেই আপনাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেটা দেখাই আমাদের কাজ ।’’
আরও পড়ুন: সংসদীয় কমিটির তলব উপেক্ষা, ভারতে হাজিরায় আসতে নারাজ টুইটারের শীর্ষকর্তা
পাশাপাশি এই বিল নিয়ে ঠান্ডা ঘরে বসে বিরোধীরা অহেতুক গুজব ছড়াচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করার পাশাপাশি উত্তরপূর্বের জন্য উন্নয়নের বার্তা দিয়েও তাঁদের মন জয় করার চেষ্টা করেন মোদী। গত চার বছরে অসমে চোদ্দ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র, এই খতিয়ান দেওয়ার সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে অসমই হয়ে উঠবে দেশের তেল এবং গ্যাস উৎপাদনের কেন্দ্র।’’ এর পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের হলঙ্গিতে একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের শিলান্যাসও করেন তিনি। এর পর আগরতলার সভা থেকেও ত্রিপুরার জন্য একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy