‘ওরা আমায় পরীক্ষায় বসতে দিল না। দুঃখিত মা।’ এটাই ‘সুইসাইড নোট!’ সংক্ষিপ্ত এই চিঠিটি লিখেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের মালকাজগিরির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। নাম সাই দীপ্তি। অভিযোগ, ফি দিতে না পারায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে দীপ্তি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার সন্ধেয় স্কুলের এক শিক্ষক এবং দুই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জ্যোতি হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল দীপ্তি। বৃহস্পতিবার তার পরীক্ষা ছিল। দীপ্তির পরিবারের অভিযোগ, দীপ্তিকে ক্লাসরুম থেকেও বের করে দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। অন্য পড়ুয়াদের সামনে এই ‘অপমান’ মেনে নিতে পারেনি নবম শ্রেণির ছাত্রীটি।
দীপ্তির বাবা পেশায় অটোচালক। পরিবারে অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। সেই কারণে স্কুলের ফি দিয়ে উঠতে পারেনি দীপ্তির পরিবার। তা বলে বাড়ির ছোট্ট মেয়েটির এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে স্কুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল দীপ্তির পরিবার। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। যদিও অভিযোগ মানেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। জ্যোতি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিশু অধিকার সংস্থাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy