ভেঙে যাওয়া ব্রিজের অংশ।— ছবি এএফপি।
দশ বছর আগের একটা রাত। গুলি আর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল মুম্বই-সহ গোটা দেশ। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসের যাত্রী প্রতীক্ষালয় সে দিন জঙ্গি হামলায় জেরে রক্তে ভেসে গিয়েছিল। দুই যুবকের এ কে ৪৭-এ ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন কমপক্ষে ৫৮ জন। আহত হয়ে হয়েছিলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। ২৬/১১-তে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশন (সিএসটি)-এ তাণ্ডব চালানোর পরে এই ব্রিজ পেরিয়েই নাকি কামা হাসপাতালে গিয়েছিল লস্কর জঙ্গি আজমল কসাব। কালের নিয়মে ওই দুই যুবকের নাম এখন বহুল পরিচিত। এক জন আজমল কসাব অপর জন ইসমাইল খান। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলার অন্যতম দুই জঙ্গি। সেই থেকেই ফুটব্রিজটার নামই হয়ে গিয়েছে ‘কসাব ব্রিজ’।
গত কাল, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সেই ব্রিজেরই কংক্রিটের পাটাতনের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ল নীচের রাস্তায়। মারা যান দুই মহিলা-সহ ৬ জন। আহত অন্তত ৩৪। নিহত দুই মহিলা নিকটবর্তী জি টি হাসপাতালের কর্মী বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এলফিনস্টন রোড, অন্ধেরির মতো স্টেশনের ফুটব্রিজে পরপর দুর্ঘটনার পরে প্রায় সাড়ে চারশো সেতুর কাঠামো পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। আজ প্রশ্নের মুখে সেই রিপোর্ট। সেতুটিতে গত ক’দিন ধরে মেরামতির কাজ চললেও লোক চলাচল কেন বন্ধ রাখা হয়নি, খতিয়ে দেখছে মহারাষ্ট্র সরকার।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ল ফুটব্রিজ, চাপা পড়ে মৃত্যু অন্তত ৬ জনের
২৬/১১-এর সেই রাত। বন্দুক নিয়ে হামলা চালাচ্ছে কসাব।— ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: সেতু দুর্ঘটনা প্রশ্ন তুলল পুরসভার সমীক্ষা নিয়ে
সিএসটি-র ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উত্তর প্রান্তের সঙ্গে এই ব্রিজই জুড়েছে উল্টো দিকের বি টি লেনকে। ১৯৮৪ সালে তৈরি এই ফুটব্রিজ দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ পারাপার করেন রোজ। আজ দুর্ঘটনার সময়েও ব্রিজে ছিল অফিস টাইমের ভিড়। ভেঙে পড়া চাঙড়ের আঘাতে রাস্তাতেও জখম হয়েছেন অনেকে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy