Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Train

কমিটি গড়ে রেলে নজর পণ্য বহনে

লকডাউন পর্বে পণ্যবাহী ট্রেন চালু থাকলেও বেশির ভাগ শিল্প ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় তেমন আয় হয়নি রেলের। বেহাল আর্থিক দশা ঘোচাতে ২০২৪ সালের মধ্যে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায় রেল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ফিরোজ ইসলাম
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৪:২৩
Share: Save:

আজ না-হোক, কাল করোনা কালবেলা কেটে যাবে ঠিকই। তবে তার পরেও যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল আগের অবস্থায় ফিরবে না বলেই মনে করছেন রেলকর্তাদের একাংশ। আয় বাড়ানোর তাগিদেই মালগাড়ির চলাচল বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া হচ্ছে।

লকডাউন পর্বে পণ্যবাহী ট্রেন চালু থাকলেও বেশির ভাগ শিল্প ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় তেমন আয় হয়নি রেলের। বেহাল আর্থিক দশা ঘোচাতে ২০২৪ সালের মধ্যে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায় রেল। সেই লক্ষ্যে রেলের টিকিট পরীক্ষক, বুকিং কাউন্টারের কর্মী ছাড়াও বাণিজ্যিক বিভাগের বসে থাকা কর্মীদের বাজার সমীক্ষা করার কাজে লাগানো হচ্ছে। যে-সব পণ্যের পরিবহণ হয় সড়কপথে, তার একাংশকে কী ভাবে রেলের দিকে টেনে আনা যায়, সেই বিষয়ে খোঁজখবর করতে স্থানীয় বাজার এবং ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছেন যাত্রিবাহী ট্রেনের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মীরা। পশ্চিম-মধ্য রেলে সম্প্রতি এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে রেল বোর্ড সারা দেশেই প্রতিটি জ়োনকে পণ্য পরিবহণ থেকে আয় বাড়ানোর জন্য বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। কয়লা, ইস্পাত, রাসায়নিক সারের মতো চিরাচরিত পণ্য ছাড়াও রেলে অন্যান্য পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের আকৃষ্ট করতে কাজ করবে ওই সব কমিটি। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা যাতে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তার নির্দেশও দিয়েছে রেল। ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেল এই ধরনের কমিটি তৈরি করেছে।

নতুন নির্দেশের প্রেক্ষিতে রেলের কর্মী ইউনিয়নগুলির আশঙ্কা, যাত্রিবাহী ট্রেনের গুরুত্ব কমিয়ে পণ্য পরিবহণকেই পাখির চোখ করতে চলেছেন রেল-কর্তৃপক্ষ। এই প্রবণতা চলতে থাকলে রেল আর কম খরচের গণপরিবহণ থাকবে না বলেও মনে করছে তারা। ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মীদের চিরতরে পণ্য পরিবহণের ব্যবসায় ব্যবহার করলে যাত্রী পরিষেবার ক্ষতি হবে।’’

তবে রেল আধিকারিকদের বক্তব্য, পরিস্থিতির প্রয়োজন মেটাতেই এটা করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সময় দেশের মোট পণ্যের ৮৬ শতাংশ রেলে পরিবাহিত হত। ২০১১-১২ সালে তা ৩৬ শতাংশে নেমে আসে। গত কয়েক বছরে যাত্রী পরিবহণে ক্ষতির ধাক্কা সামলানোর জন্য পণ্য-মাসুল বাড়াতে হয়েছে। তাতে রেলে পণ্য পরিবহণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ আরও কমেছে। জাতীয় সড়কের উন্নতির পরে বেশির ভাগ পণ্যই সড়কপথে বহন করা হচ্ছে। অটোমোবাইল, ই-কমার্স এবং নানাবিধ পণ্য পরিবহণের বাজার ধরতে রেল তাই মরিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Train Railway Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE