মেয়েদের অবস্থার সূচকে নজর কাড়ল উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়েদের সার্বিক পরিস্থিতি বিচারে দেশের ৩০টি রাজ্যের মধ্যে সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে উত্তর-পূর্বের মিজোরাম, সিকিম ও মণিপুর। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ‘প্ল্যান ইন্ডিয়া’ প্রথমবার ‘জেন্ডার ভালনারিবিলিটি ইনডেক্স’ সমীক্ষা চালায়। সম্প্রতি তার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষায়ে দেখা গিয়েছে মেয়েদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা ও স্বাধীনতা-সব দিক মিলিয়ে দেশের মধ্যে সেরা তিনটি রাজ্য গোয়া, কেরল ও মিজোরাম। প্রথম আটটি রাজ্যের তালিকায় রয়েছে মণিপুর এবং সিকিমও। আবার ওই তালিকাতেই একেবারে শেষের ছ’টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ। সবচেয়ে খারপ ফল করা রাজ্য গুলির মধ্যে রয়েছে খোদ দেশের রাজধানী দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ৪০.৭ শতাংশ মেয়ের বিয়ে ১৮ বছরের আগে হয়। ৬৬.৪ শতাংশ মেয়ে নিরক্ষর।
আরও পড়ুন: গুজরাত জয়ে তিন তরুণ তুর্কিই তাস রাহুলের
আরও পড়ুন: চাকরি দিন, না হলে গদি ছাড়ুন, মোদীকে আক্রমণ রাহুলের
মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম মণিপুর। পয়লা সারিতে রয়েছে মিজোরাম, মেঘালয়ও। মেয়েদের নিরাপত্তায় উত্তর-পূর্বে সেরা ত্রিপুরা। অসম কোনও ক্ষেত্রেই ভাল ছবি দেখাতে পারেনি। নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক পরিস্থিতি- সব মিলিয়ে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অরুণাচল প্রদেশের। ৩০টি রাজ্যের মধ্যে তাদের স্থান ২৬ নম্বরে। সমীক্ষা অনুযায়ী নারী ও শিশুর পরিস্থিতি বিচারে নাগাল্যান্ডের অবস্থা সন্তোষজনক হলেও অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার ফল মোটেই সন্তোষজনক নয়।
মেয়েদের নিরাপত্তায় শীর্ষে গোয়া। এক্ষেত্রে প্রথম দশে উত্তর-পূর্বেরই পাঁচ রাজ্য। কিন্তু মেয়েদের নিরাপত্তায় সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা উত্তরপ্রদেশের (৩০)। তার পরেই দেশের মধ্যে শোচনীয়তম স্থান (২৯) পশ্চিমবঙ্গের। জন্ম নথিভুক্তিকরণেও একই ভাবে তালিকার শেষে উত্তরপ্রদেশের ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গ। সামগ্রিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ১৮ নম্বরে।
নারী শিক্ষায় প্রথম দশে উত্তর-পূর্বের প্রতিনিধি শুধু সিকিম (২)। অরুণাচল রয়েছে ২৯ নম্বরে। জন্মের আগে ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষা, প্রতিষেধক ও উপযুক্ত চিকিৎসার অভাব, পরিচ্ছন্নতার অভাব, কন্যাভ্রূণ ও নবজাতককে হত্যা, গর্ভপাত, স্কুলে না পড়ানো, কম বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ, পণপ্রথা, পাচারের মতো ঘটনা এখনও এই অঞ্চলে যে হারে ঘটছে- তাতে মেয়েদের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy