Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অসমিয়া সংজ্ঞা নিয়ে দ্বন্দ্ব গগৈ-স্পিকারের

অসমিয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণের বিষয়টি এখন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ বনাম বিধানসভার স্পিকার গগৈয়ের লড়াইয়ে বদলেছে। ৩ মার্চ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘অসমিয়া’ কারা সেই বিষয়ে কোনও সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো আসা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪১
Share: Save:

অসমিয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণের বিষয়টি এখন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ বনাম বিধানসভার স্পিকার গগৈয়ের লড়াইয়ে বদলেছে।

৩ মার্চ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘অসমিয়া’ কারা সেই বিষয়ে কোনও সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো আসা যায়নি। তাই অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা অনুযায়ী অসমীয়দের ভাষিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ ও ঐতিহ্যের সাংবিধানিক, আইনি ও প্রশাসনিক সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তার জেরে স্পিকার প্রণব গগৈ সিদ্ধান্ত নেন, রাজ্যের সব রাজনৈতিক, মানবাধিকার, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও উপজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ‘অসমিয়া’ সংজ্ঞা নিরূপণের চেষ্টা চালানো হবে। ৩১ মার্চ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষে স্পিকার প্রণব গগৈ জানান, অসমীয়ার সংজ্ঞা নিয়ে স্বাধীনতার আগে-পরে ও অবিভক্ত অসমের বিভিন্ন তথ্য তিনি পড়ে দেখেছেন। বিভিন্ন ভাষাভাষী দল-সংগঠনের প্রতিনিধি, সাহিত্য সভা, ছাত্রসংস্থা ও রাজ্যের বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাষা, ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে নয় ১৯৫১ সালের নাগরিক পঞ্জীর ভিত্তিতেই অসমীয়ার সংজ্ঞা ঠিক করা যুক্তিসঙ্গত। অগপ-বিজেপি-বিপিএফ স্পিকারের রিপোর্টকে স্বাগত জানালেও শাসক দল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল এআইইউডিএফ জানায়, এ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়নি।

স্পিকার রাজনৈতিক দলগুলির মতামতও নেননি। তাই এই রিপোর্ট বিধানসভায় দাখিল করা যাবে না। ক্ষিপ্ত স্পিকার প্রণব গগৈ বলেন “আমি এই রিপোর্ঠ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি। তিনি এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অসমবাসী জানতে পারলেন, কারা সংজ্ঞা নির্ধারণের পক্ষে এবং কারা বিপক্ষে।”

গত কাল প্রণববাবু দল ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, “বিধানসভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী ও দল আপত্তি জানায়নি। তা হলে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় এমন কেন করা হল?” তিনি বলেন, “পুরো রিপোর্ট আমি বিধানসভায় পড়েছি। সেটি তা-ই বিধানসভার সম্পত্তি হতে বাধ্য। আমি সংবিধান মেনেই যা করার করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE