বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ফাইল চিত্র
পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংসদের অধিবেশন কী ভাবে শুরু করা যায়, তা খতিয়ে দেখছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
সংসদের বাদল অধিবেশন জুলাই মাসে শুরু হয়ে থাকে। আপাতত সরকারের বড় মাথাব্যথা অতিমারির প্রকোপ এড়িয়ে এই অধিবেশনকে ঠিক ভাবে চালানো। লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার অধিবেশেন অপেক্ষাকৃত বড় জায়গায় বসানো যায় কি না, তা নিয়েও ভাবা হয়েছে। লোকসভার কক্ষে রাজ্যসভার অধিবেশন চালিয়ে, সেন্ট্রাল হলে লোকসভা অধিবেশনকে সরিয়ে আনা যায় কি না— সেই প্রস্তাবও সামনে এসেছে। পাশাপাশি, বিজ্ঞান ভবনে অধিবেশন বসানোর বিষয়টিও দেখা হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে, সেন্ট্রাল হল এবং বিজ্ঞান ভবনে সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লোকসভার সব সাংসদকে বসানো যাচ্ছে না। সেন্ট্রাল হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র নেই। বিভিন্ন ভাষা থেকে তৎক্ষণাৎ অনুবাদ করার ব্যবস্থা নেই। ফলে আপাতত ভাবা হচ্ছে, কোনও নির্দিষ্ট দিনে যে সব মন্ত্রী ও সাংসদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক, তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিলেন। বাকিদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত করা যেতে পারে।
অন্য একটি উপায়ও বর্তমান সঙ্কটে সরকারের হাতে রয়েছে। তা হল, সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। জুলাই থেকে অগস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশন হয়ে থাকে। তবে একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পরের অধিবেশন শুরু করতে হয়। করোনা-সংক্রমণের কারণে বাজেট অধিবেশন বন্ধ হয়েছিল ২৪ মার্চ। ফলে পরের অধিবেশনের জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে লেখা চিঠিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নজির দেখিয়ে, ভিড় কম করে সংসদ চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ তিনি বলেন, “লোকসভার অধিবেশন সেন্ট্রাল হলে হতে পারে। আবার রাজ্যসভার অধিবেশন লোকসভা কক্ষে অথবা দুই সভারই অধিবেশন যদি সেন্ট্রাল হলে হয় (এক দিন লোকসভা ও অন্য দিন রাজ্যসভা), তা হলে সাংসদদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যেতে পারে।”
আরও পড়ুন: বিরোধী-কটাক্ষ অমিতকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy