Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঘোষণা নেই, সংশয় সেঙ্গারের বহিষ্কার নিয়ে

গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেও যোগী আদিত্যনাথের সরকার উন্নাও সদরের বিধায়ক সেঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও পদক্ষেপ করেনি।

কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার

কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪৪
Share: Save:

উন্নাওয়ের চার বারের বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে কি বহিষ্কার করেছে বিজেপি? বিজেপির উত্তরপ্রদেশের সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিংহ রাতে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানান, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কুলদীপ সেঙ্গারকে বহিষ্কার করেছেন বলে জেনেছি।’ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।

গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেও যোগী আদিত্যনাথের সরকার উন্নাও সদরের বিধায়ক সেঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং নিগৃহীতা অভিযোগ জানানোর পরের দিনই তাঁর বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করেন বিধায়কের ভাই। নিগৃহীতার বাবা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার এবং মারধর করে পুলিশ। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখানেই শেষ নয়, নিগৃহীতার কাকাকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এর পরে রেল ডাকাতি, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণের চেষ্টার মতো ১২টি মামলায় জড়ায় তাঁকে। রায়বরেলী জেলে তিনি খুন হতে পারেন আশঙ্কা করে আদালতে যান। আজ সুপ্রিম কোর্ট পুলিশকে নোটিস দিয়ে বলেছে, নিগৃহীতার কাকাকে কেন দিল্লির তিহাড় জেলে স্থানান্তর করা হবে না, কালকের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে।

বিরোধীদের প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় যোগী সরকার। প্রাথমিক তদন্তের পরে সিবিআই আদালতে জানায়— ২০১৭-র ৪ জুন সেঙ্গার ও তার দলবল যে তরুণীকে ধর্ষণ করেছে, তার প্রমাণ মিলেছে। এর পরেও কিন্তু বিজেপি সেঙ্গারকে বহিষ্কার বা সাসপেন্ডের কোনও ঘোষণা করেনি। বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, দল আগেই সেঙ্গারকে সাসপেন্ড করেছিল। সেটা কবে— পাল্টা প্রশ্নের জবাবে স্বতন্ত্রদেব জানান, সেটা তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে হওয়ায় দিনক্ষণ বলতে পারছেন না। এর পরে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট উন্নাও নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ দেওয়ায় বিরোধীরাও শোরগোল ফেলেন। তখন সূত্রের মারফত প্রচার করা হয়, সেঙ্গারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু লিখিত ঘোষণা হয়নি। সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি প্রথমে মুখে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহিষ্কার করেছে বলে শুনেছি।’’ রাতে একই কথা তিনি লিখিত জানান। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও ঘোষণা করেননি।

কিন্তু সেঙ্গারকে বহিষ্কারের কথা জানাতে কেন এত ভাবতে হচ্ছে অমিত শাহকে? কারণ তিনি ঠাকুর সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা। বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক এই ঠাকুর সম্প্রদায়। যোগীও এই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE