প্রতীকী ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বলিউডের মধ্যে আদানপ্রদান যখন তুঙ্গে, সে সময় কংগ্রেসও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিসকে কাছে টানতে উদ্যোগী হল। রবিবার মুম্বইয়ে শশী তারুরের নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনধিদল কথা বলেন চলচ্চিত্র জগতের লোকজনের সঙ্গে। খবরে প্রকাশ, কেউ কেউ শশীকে জানান, তাঁদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কারণ শাসকের বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শশী নিজে টুইটারে জানিয়েছেন, ভোটের আগে দলীয় ইস্তাহার তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও সেই দলে আছে। ইস্তাহার তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন শশী। রবিবার তাঁর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির যাঁরা দেখা করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহেশ ভট্ট, সোনি রাজদান, জাভেদ জাফরি, কবীর খান, আনন্দ পটবর্ধন এবং দিয়া মির্জা। শশী এবং কংগ্রেসের আরও কয়েকজন নেতা-নেত্রী সে ছবি টুইট করেন।
তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে অনেকেই বলছেন, প্রতিনিধিদলটির চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে বলিউডে হাওয়া এখন কোন দিকে। শনিবারই মুম্বইয়ে সিনেমা সংগ্রহশালা উদ্বোধন করে গিয়েছেন মোদী। সেদিন তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য তারকাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রবিবার সেই সব ছবি সেঁটে এবং মোদীর প্রতি মুগ্ধতা জ্ঞাপন করে টুইটার ভরিয়ে ফেলে বলিউড। তার পাশে দৃশ্যতই শশীর বৈঠকে খুব কম লোকই হাজির হয়েছিলেন। প্রথম সারির তারকাদের কাউকেই প্রায় দেখা যায়নি।
বরং ‘উরি’ ছবির ঢঙে মোদী শনিবার যখন ইন্ডাস্ট্রিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘হাউ ইজ দ্য জোশ?’’ ইন্ডাস্ট্রি একযোগে বলেছিল, ‘‘হাই স্যর!’’ সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল এবং তার জেরে ‘উরি’ ছবির বক্স অফিসও নতুন করে চাঙ্গা। শশীর সঙ্গে দেখা করেছেন যে দিয়া মির্জা, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টও ‘উরি’র গুণগানে ভরা। মহেশ-কন্যা আলিয়াও বলিউডের দলের একজন হয়ে ক’দিন আগেই দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। শশীর সঙ্গে দেখা করার পর মহেশ টুইট করেছিলেন: ‘‘আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি শুধু আমাদের কথাই শোনেননি, আমাদের অনুভব আর নীরবতাকেও শুনেছেন।’’ তবে টুইটটি কিছু সময় পর থেকে আর তাঁর দেয়ালে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy