কর্নাটকের পরে তৃতীয় ইউপিএ-র আঁতুড়ঘর এ বার হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ।
কর্নাটকে মন্ত্রিসভা নিয়ে দর কষাকষি না করে রাহুল গাঁধী ২০১৯-এর ভোটে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোটকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এ বার কৈরানা-মডেলকে সামনে রেখে মধ্যপ্রদেশে মায়াবতীর বিএসপির সঙ্গে জোটের কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ জানিয়েছেন, মায়ার সঙ্গে জোট পাকা। রাজস্থান-ছত্তীসগঢ়েও জোট হবে বিএসপির সঙ্গে। মধ্যপ্রদেশে ৬০ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে আগামিকাল নির্বাচন কমিশনেও যাচ্ছে কংগ্রেস। কমল নাথ কাল সকালে গিয়ে নালিশ জানাবেন, এক ছবিতে গড়পড়তায় ২৩ জনের ভোটার পরিচয়পত্র বানানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ এমন এক রাজ্য, যেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে মোদীর দলের মুখোমুখি লড়াই। কিন্তু সেখানেও আগেভাগে বিএসপির জন্য আসন ছেড়ে দিয়ে জোটের কথা ঘোষণা করে দেওয়া থেকেই স্পষ্ট, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের এককাট্টা করতে কতটা বদ্ধপরিকর রাহুল গাঁধী।
উত্তরপ্রদেশে এর আগে গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে এসপি-বিএসপি জোট বেঁধে বিজেপিকে হারিয়েছিল। কিন্তু দু’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। দু’টি আসনেই কংগ্রেসের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। কংগ্রেস নেতাদের একাংশ মনে করছেন, ওখানে প্রার্থী দেওয়াটাই ভুল হয়েছিল। সেই ভুল কৈরানাতে করেনি কংগ্রেস। দাদাগিরির মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেস এখন আঞ্চলিক দলগুলির জন্য অনেক বেশি জায়গা ছেড়ে দিতে চাইছে।
রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি বেকায়দায়। মধ্যপ্রদেশেও বিজেপিকে চাপে ফেলতে ৬ জুন মন্দসৌর যাচ্ছেন রাহুল। ওই দিনে মন্দসৌরে কৃষকদের উপরে গুলিচালনার বর্ষপূর্তি। দেশের একটা বড় অংশে কৃষকদের যে ১০ দিনের ধর্মঘট চলছে, তার পিছনেও রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের মস্তিষ্ক।
মায়াও পুরনো কৌশল ছাড়ছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশে ৭% ভোট পেয়ে আসছে বিএসপি। অন্য রাজ্যেও রয়েছে দলিত ভোট। মায়াবতী মনে করতেন, জোট করলে তাঁর দলিত ভোট অন্য দলের কাছে যাবে, কিন্তু তাঁর লাভ হবে না। সেই অবস্থান থেকে সরে কংগ্রেস বা অন্য দলকে সাহায্য করতে রাজি তিনি। বদলে উত্তরপ্রদেশে ২০১৪-র যে সব আসনে বিএসপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল, অখিলেশ যাদবের সঙ্গে রফায় সেই আসনগুলি চাইবেন তিনি। কংগ্রেসের কাছেও সেই আসনগুলিতে প্রার্থী না দিতে অনুরোধ করার ভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy