নরেন্দ্র মোদী সরকারের রাফাল-চুক্তি খতিয়ে দেখে দ্রুত সংসদে রিপোর্ট পেশ করতে সিএজি-র কাছে দাবি জানাল কংগ্রেস। আজ গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেল, আনন্দ শর্মা-সহ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা সিএজি রাজীব মেহর্ষির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দাবি, সিএজি নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাফাল-চুক্তির হিসেব পরীক্ষা করুন। সমস্ত নথি পরীক্ষা করা হোক। যাতে মানুষ সত্যিটা জানতে পারেন এবং মোদী সরকারের উপরে দায় বর্তায়।
মনমোহন-সরকারের জমানায় টু-জি স্পেকট্রাম, কয়লাখনি বণ্টন, কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে একের পর এক সিএজি রিপোর্ট থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। রাহুল গাঁধীর কংগ্রেস এ বার মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও সেই একই অস্ত্র হাতে পেতে চাইছে। ফ্রান্সের থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে সরকারি কোষাগারের ক্ষতি করে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে ফায়দা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাহুল গাঁধী অভিযোগ তুলেছেন। আজ কংগ্রেস নেতারা সিএজি-কে আট পৃষ্ঠার স্মারকলিপি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, ইউপিএ আমলে যে দামে একটি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার কথা হয়েছিল, মোদী সরকার তার থেকে ৩০০ শতাংশ বেশি দামে রাফাল কিনছে। এর ফলে সরকারি কোষাগারের বাড়তি ৪১ হাজার কোটি টাকা অপচয় হবে।
দলীয় স্তরে হালকা চালে রাফালের দাম জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তিতে গোপনীয়তার শর্ত থাকার জন্য সরকারি ভাবে রাফালের দাম বলতে রাজি নয় মোদী সরকার। কংগ্রেস এ কারণে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তেরও দাবি তুলেছিল। যুক্তি ছিল, সংসদীয় কমিটি সব নথি খতিয়ে দেখতে পারে। এ বার তার সঙ্গে সিএজি-র হিসেব পরীক্ষার দাবিও যোগ হল। কংগ্রেসের দাবি শুনে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এক জন ভুল তথ্য দ্বারা চালিত নেতার ইগোকে সন্তুষ্ট করার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সিএজি-র তদন্ত হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy