Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জল্পনা উস্কে শশীর ইতিহাসকে সাহিত্য অকাদেমি

‘অ্যান এরা অব ডার্কনেস: দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার ইন ইন্ডিয়া’— এই বইটির লেখক হিসেবে ‘সৃষ্টিশীল নিবন্ধমূলক ইংরেজি গ্রন্থ’ বিভাগে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পাচ্ছেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৪
Share: Save:

তিনি কংগ্রেস সাংসদ। ‘হোয়াই আই অ্যাম আ হিন্দু’ বা ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার’-এর মতো বইয়ের লেখক। সেই সব বইয়ে বিজেপি শিবির তথা নরেন্দ্র মোদীকে যথেষ্ট খোঁচাই দিয়েছেন। এ হেন শশী তারুরের নামই এ বছরের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারের অন্যতম প্রাপক হিসেবে ঘোষণা হল আজ। তার পর থেকেই চর্চা চলছে, মোদী সরকার কি এতটাই পরমতসহিষ্ণু হয়ে উঠছে?

‘অ্যান এরা অব ডার্কনেস: দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার ইন ইন্ডিয়া’— এই বইটির লেখক হিসেবে ‘সৃষ্টিশীল নিবন্ধমূলক ইংরেজি গ্রন্থ’ বিভাগে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পাচ্ছেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব নিয়ে তাঁর এই বই। পুরস্কারের প্রাপকেরা পাবেন তাম্রফলক, শাল এবং এক লক্ষ টাকা।

মোদীর আমলে অসহিষ্ণুতার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ তুলে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট লেখক। আজ শশী কিন্তু বলেছেন, ‘‘পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার প্রশ্নই নেই। বরং অন্য লেখকেরা যখন এই পুরস্কার ফেরাচ্ছিলেন, আমি বারণ করেছিলাম। এটা সাহিত্য-জীবনের স্বীকৃতি। এর সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ গভীর রাতে শশী এ বিষয়ে টুইটও করেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ঘনিষ্ঠ এক বামপন্থী কবির মন্তব্য টুইট করে দেন তিনি— ‘সাহিত্য অকাদেমি কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। শশী তারুরের অকাদেমি পুরস্কার গ্রহণ করার সিদ্ধান্তের মধ্যে রাজনীতির ছিটেফোঁটা গন্ধও নেই!’ এই ‘ব্যাখ্যার’ জন্য কবিকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলায় অকাদেমি পেলেন চিন্ময় গুহ

রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, এই পুরস্কার কি বিজেপির তরফে শশীকে কোনও বার্তা? কারণ, শশীর মতো যাঁরা কেরলের মূল স্রোতের কংগ্রেসি রাজনীতিক নন, তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা বেশ কিছু দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আর শশী ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার’ লিখলেও সাম্প্রতিক অতীতে এই কথাও বলেছেন যে, সব কিছুর জন্য মোদীকে দায়ী করা অনুচিত। এই সব থেকেই অন্য সমীকরণ খুঁজছেন কেউ কেউ। তাঁরা মনে করাচ্ছেন, সাহিত্য অকাদেমির বর্তমান সভাপতি, কন্নড় কবি চন্দ্রশেখর কম্বর ওই পদে এসেছেন মোদীর আমলেই।

সাহিত্য অকাদেমি সূত্রের বক্তব্য, প্রতিটি ভাষার পুরস্কারের ক্ষেত্রে তিন জন করে শিক্ষাবিদকে নিয়ে জুরি বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরাই পুরস্কার প্রাপককে নির্বাচিত করেছেন। বিচারকদের বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গাই নেই। শশী নিজেও লেখক হিসেবে সমাদৃত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE