রাফাল নিয়ে রাহুলকে তোপ অমিত শাহের। —ফাইল চিত্র
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ক্লিন চিট দিতেই রাফাল নিয়ে তেড়েফুঁড়ে উঠল বিজেপি। তিন রাজ্যে হারের ধাক্কা কাটিয়ে এবার রাফাল নিয়ে পাল্টা তোপ দাগতে শুরু করল গেরুয়া শিবির। সংসদে রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন শাসক দলের সাংসদরা। তার জেরে দফায় দফায় বাধা পায় সংসদের কাজকর্ম। রাহুল গাঁধীকে বিঁধেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর টুইট, ‘সব সময়ই সত্যের জয় হয়।’
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দলের নেতা-নেত্রীরা ছিলেন প্রায় মৌন। কিন্তু শুক্রবার রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই জোড়া টুইট করে অমিত শাহ বলেন, ‘সাময়িক রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কংগ্রেস সভাপতি রাফাল নিয়ে দেশবাসীকে ভুল তথ্য দিয়েছেন।’ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে কী কী জানিয়েছে, সেটাও বিশদে টুইট করেছেন অমিত শাহ।
এর কিছুক্ষণ পর এবার সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করেন অমিত শাহ। সেখানেও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে দেশবাসীকে ভুল বোঝানোর এত বড় প্রয়াস স্বাধীনতার পর আর কোনওদিন হয়নি।’’ ‘চৌকিদার চোর’— রাফাল ইস্যুতে এই স্লোগান তুলে লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত এ দিন বলেন, ‘‘চৌকিদার চোর, এটা কোনওদিন দেশবাসী মেনে নেবে না।’’
Truth always triumphs! Court’s judgment on the Rafale deal exposes the campaign of misinformation spearheaded by Congress President for political gains. The court didn’t find anything wrong with the process nor did it find any commercial favouritism in the deal. #SCNailsRaGaLies
— Amit Shah (@AmitShah) December 14, 2018
On the contrary SC held that govt had no role in selecting offset partners & found no merit in the demand for a probe based on mere perception of individuals. It therefore raises obvious questions on the motive of those working to discredit the deal, which is important for India.
— Amit Shah (@AmitShah) December 14, 2018
আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তিতে গলদ নেই, কোনও তদন্ত নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট, স্বস্তিতে কেন্দ্র
তবে এদিন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির শোচনীয় হার নিয়ে প্রশ্ন করলেও তার উত্তর দিতে রাজি হননি বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, আরও দু’-তিন দিন পর তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন।
শুক্রবার লোকসভার অধিবেশন শুরু হয় বেলা ১১টায়। অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্টও কিছুক্ষণ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, রাফাল মামলায় কোনও অসঙ্গতি নেই। তদন্তের আর্জি খারিজ করে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জিও নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়েলে হই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টও কিছুক্ষণ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়েই শাসক দলের সাংসদরা পাল্টা হই চই শুরু করে দেন। চলতে থাকে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। দু’পক্ষের হট্টগোলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্থান-ছত্তীসগঢ়ের সিদ্ধান্ত আজ, মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে গহলৌত-বাঘেল
তার মধ্যেই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে উল্লেখ করে দাবি করেন, রাফাল নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য রাহুল গাঁধীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন শাসক পক্ষের সাংসদরাও। বিশৃঙ্খলার জেরে ১০ মিনিট চলার পরই দুপুর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy