ছবি: সংগৃহীত।
অর্থনীতির বিগড়োনো ইঞ্জিন মেরামতির চেষ্টা করা তো দূর, বরং সাধারণ মানুষের কষ্টের সঞ্চয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার সম্প্রতি প্রকাশিত দুই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এ বার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র অজয় মাকেনের অভিযোগ, ১৯৫৬ সালে তৈরির পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় ছয় দশকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঢালা হয়েছে জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) মোট ১১.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৯ সালে তা বেড়ে পৌঁছেছে ২২.৬৪ লক্ষ কোটিতে। অর্থাৎ, মাত্র পাঁচ বছরে তা বেড়েছে ১০.৭ লক্ষ কোটি টাকা। এবং সমস্যা হল, কোন ধরনের সংস্থায় তা ঢালা হচ্ছে, যথেষ্ট সংশয় রয়েছে তাকে ঘিরে। কারণ, গত পাঁচ বছরে সেনসেক্স যেখানে মোট ৭৩% উঠেছে, সেখানে এলআইসি-র টাকা ঢালা সংস্থাগুলির শেয়ার দর বেড়েছে মোটে ২০%।
তাঁর অভিযোগ, লগ্নির জন্য ভুল সংস্থা বাছাইয়ের হাতে গরম উদাহরণ আইডিবিআই ব্যাঙ্ক। সেখানে ২১ হাজার কোটি টাকা ঢেলে এলআইসি নিজেদের অংশীদারি ৫১ শতাংশে নিয়ে গেলেও, ওই অঙ্ক খেয়ে গিয়েছে অনুৎপাদক সম্পদ। তার পরেও এ মাসে ওই ব্যাঙ্কে ফের ৯,৩০০ কোটি ঢালার কথা বলেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে ৪,০০০ কোটিরও বেশি টাকার উৎস এলআইসি।
মাকেনের দাবি, এলআইসি-তে শুধু ব্যক্তিগত পলিসি হোল্ডারের সংখ্যা ২৮ কোটির বেশি। কর্মী ১.১২ লক্ষ। ১০.৭২ লক্ষ এজেন্ট। প্রায় সমস্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের একটি অংশ অন্তত গচ্ছিত রয়েছে এলআইসি-তে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভিত এ ভাবে দুর্বল করা হবে কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লগ্নিকারীদের ভাল রিটার্নের কথা মাথায় রেখে টাকা না-খাটিয়ে ধুঁকতে থাকা সংস্থায় তা ঢালার মানে কী, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
গত পাঁচ বছরে দেশে পারিবারিক ঋণ যে ভাবে বেড়েছে, সে দিকেও আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। মাকেনের দাবি, ২০১২-১৩ সালে যেখানে ওই ঋণ ছিল ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮-এ তা পৌঁছেছে ৭.৪১ লক্ষ কোটিতে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে লাফ ৪.১১ লক্ষ কোটির। তাতে গড় সঞ্চয় কমেছে। যার মাসুল গুনছে অর্থনীতি।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও এ দিন টুইটে অভিযোগ করেন, মোদী সরকার দেশের অর্থনীতির যে হাল করেছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত। কিন্তু সরকার এই পরিস্থিতি স্বীকার করতেই চাইছে না! নিউ ইয়র্কে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠান করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল গাঁধী তার অনুকরণে টুইট করেছেন, ‘হাউডি ইকনমি ডুইন, মিস্টার মোদী? বোধ হয় খুব ভাল নয়, তাই নয়?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy