রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
কৈলাসের পথে রাহুল গাঁধী। আর রাহুলেরই নির্দেশে দিল্লিতে তাঁর দল নেমে পড়ল লোকসভার প্রস্তুতিতে।
কৈলাসের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি দলের ইস্তাহার কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তার প্রথম বৈঠকটি হল। চলতি সপ্তাহে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা অশোক গহলৌত দু’টি বৈঠক ডেকেছেন। প্রথম বৈঠকটি হবে বৃহস্পতিবার। সব রাজ্যের কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষদের নিয়ে। আহমেদ পটেল কংগ্রেসের নতুন কোষাধ্যক্ষ হওয়ার পর এটিই প্রথম বৈঠক। সেখানে আলোচনা হবে ভোটের জন্য অর্থ কী করে তোলা হবে, তা নিয়ে। আর তার পর দিন দলের সব মোর্চা ও বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হবে লোকসভার যুদ্ধের রণকৌশল নিয়ে।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এত দিন একটি ধারণা প্রচলিত ছিল, ভোটের প্রস্তুতির নিরিখে বিজেপি নাকি কংগ্রেসের থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকে। কিন্তু রাহুল এ বারে বাকি সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়ে দলকে তৈরি করছেন এখন থেকেই।’’ ওই নেতা জানান, কৈলাসে রওনা হওয়ার এক দিন আগে রাহুল দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই লোকসভা ভোটের জন্য দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতির নীল নকশা তৈরি করে গিয়েছেন।’’
রাহুলের গড়া ইস্তাহার কমিটির এক সদস্যের কথায়, মূল লক্ষ্যটিই হল বিজেপির বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসকে মানুষের সামনে মেলে ধরা। নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দি আর জিএসটির জন্য গোটা অর্থনীতিই মুখ থুবড়ে পড়েছে। কৃষির উপরে প্রধানমন্ত্রীর যতটা নজর দেওয়ার কথা ছিল, তার ধারেকাছেও যাননি। তার উপর ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতি করে যাচ্ছেন নিরন্তর। মোদীর জমানায় মহিলা, দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
রাহুলের বিকল্প পথটি কী হবে?
কংগ্রেসের সূত্রের মতে, ইস্তাহারে প্রথমেই রোজগারের বিকল্প পথের সন্ধান থাকবে। বিশেষ জোর দেওয়া হবে ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপরে। রাহুল এমনটাই বলে গিয়েছেন। মোদী জমানার থেকে মনমোহন সিংহের আমলে বৃদ্ধির হার কতটা ভাল ছিল, সে কথাও তুলে ধরা হবে। জিএসটিতে অনেকগুলি স্তর আছে। সেগুলি কমিয়ে একটি স্তরে আনা যায় কি না, তার নিদান দেবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এবং অবশ্যই কংগ্রেসের আদর্শে সকলকে সমান ভাবে দেখা ও সমান সুযোগ দেওয়ার কথা থাকবে ইস্তাহারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy