ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেস এনআরসির পক্ষে, কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে নয় বলে জানালেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেরিয়ো। তাঁর বক্তব্য, এনআরসির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই, এ-বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিলে কংগ্রেস সহমত নয়।
এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফেলেরিয়ো জানিয়েছেন, অসমে এনআরসি-কে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। তাই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে অন্যান্য রাজ্যে এর বিরোধিতা করার প্রশ্ন নেই। তবে, রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব আঞ্চলিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এনআরসিতে সমর্থন বা আপত্তি জানাতেই পারেন। এনআরসি যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই, সুপ্রিম কোর্ট অন্য কোনও রাজ্যে এনআরসি চালু করার নির্দেশ দিলে কংগ্রেস তাতে আপত্তি করবে না।
কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করাতে চাইছে। ফেলেরিয়োর বক্তব্য, এই বিল পাশ হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়তে হবে। কারণ, এই বিলে জনগণের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিলটির বিরোধিতা করছে। কংগ্রেসও এই বিলের বিরোধিতা করবে।
গত কাল ত্রিপুরা সফরে এসে দলের রাজ্য নেতাদের ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন ফেলেরিয়ো। রাজ্যের স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনকে মাথায় রেখে আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেও তিনি আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন। পরে সাংবাদিক সন্মেলনে ফেলেরিয়ো জানান, ২০১৮-র বিধানসভা ভোটের ফলের তুলনায় লোকসভা নির্বাচন এবং রাজ্যের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ভোটের হার বেড়েছে। বিজেপি ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়িত করতে পারছে না। রাজ্যের মানুষ তা টের পেয়ে ফের কংগ্রেসের দিকে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy