সংসদে বিরোধীদের একজোট করে নরেন্দ্র মোদীকে কোণঠাসা করতে নামছেন রাহুল গাঁধী।
আজ সকালে সনিয়া গাঁধীর বাড়িতে মনমোহন সিংহ, চিদম্বরম, আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদের মতো শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। সেখানে স্থির হয়, বুধবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধী ঐক্য অটুট রেখে মোদীকে যতটা সম্ভব চাপে ফেলতে হবে। সরকার যতই হট্টগোল পাকিয়ে সংসদ অচল করার চেষ্টা করুক, বিরোধীদের একজোট হয়ে সরব হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা যেতে পারে।
সেই কৌশল মোতাবেক আজ সন্ধ্যায় ১৩টি বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আজাদ, আহমেদ পটেলরা। সেখানে তৃণমূল, সপা-বসপা, এনসিপি, আরজেডি, ডিএমকে, জেডিএস, বাম দলগুলি উপস্থিত ছিল। আম আদমি পার্টিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বৈঠক শেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আজাদ বলেন, ‘‘আমরা চাই সংসদ চলুক। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে বলতেও চাই। কিন্তু সরকার হট্টগোল পাকিয়ে যেন বিরোধীদের ঘাড়ে দায় না চাপায়।’’
চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানিয়েছে। বিরোধীদের তাতে শামিল হতে অসুবিধা নেই। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা, সংসদের গত অধিবেশনের মতো এ বারেও তেলুগু দেশম হট্টগোল করলে প্রতিবাদে জগন্মোহন রেড্ডির দলও করবে। আর তাতেই লাগাতার ভন্ডুল হবে সংসদ। সে কারণেই সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠকে একজোট বিরোধীরা সাফ জানাবেন, সরকার যেন কোনও ভাবে সংসদ অচল না করে।
সংসদের আসন্ন অধিবেশনকে ঘিরে বিরোধীরা যে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে চাইছেন, তা বুঝছেন নরেন্দ্র মোদী। সে কারণেই আজ ‘অসুস্থ’ অরুণ জেটলিকে দিয়ে একটি ব্লগ লেখানো হয়। যেখানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ‘কান্না’কে হাতিয়ার করে বিরোধী জোটে ফের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হয়। জেটলি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস চৌধুরী চরণ সিংহ, চন্দ্রশেখর, দেবগৌড়া, আই কে গুজরালের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, এখনও কুমারস্বামীর সঙ্গে তাই করছে। তৃণমূল, ডিএমকে, টিডিপি, বসপা, জেডিএস অতীতে বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছে জাতীয় স্বার্থে। আবার সুযোগ বুঝে ‘সাম্প্রদায়িকতা’র ইস্যুতে আলাদা হয়েছে।
জেটলির মতে, ‘‘বিরোধী জোট কোনও ভাবেই স্থায়িত্ব দিতে পারবে না। দেশের সেবার চেয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোই তাদের কাছে
অনেক বড়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy