রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহ।
টানা কুড়ি দিন ধরে জমকালো প্রচার। ঢালাও বিজ্ঞাপন। মন্ত্রী-নেতাদের সফর। পদযাত্রা, জনসংযোগ, সাংবাদিক বৈঠক এবং প্রচার সামগ্রী বিলি।
সরকারের চার বছরের জন্মদিন এ ভাবেই পালন করবেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই রাহুল গাঁধীর দল প্রশ্ন তুলে দিল— ‘‘জনতার কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে এ কেমন জন্মদিন পালন?’’ ওই দিন অর্থাৎ ২৬ মে, ‘বিশ্বাসঘাত দিবস’-ও পালন করবে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত আজ বলেন, ‘‘চার বছর ধরে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সরকার। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল দেশ। কালো টাকা আসেনি। এ দিকে জয় শাহ থেকে পীযূষ গয়ালদের দুর্নীতিতে নিয়েও চুপ মোদী। প্রধানমন্ত্রী ভুলে যান যে জনতার অর্থ সামলে রাখাটাও তাঁর দায়িত্ব।’’
কর্নাটক ভোটপর্বে সম্প্রতি বড় ভূমিকা নিয়েছেন গহলৌত। তাঁর সাফ কথা, ক্ষমতায় আসতে বিজেপি যে টাকা উড়িয়েছে, কংগ্রেস তার ধারেকাছেও নেই। হিসেব দিতে গিয়ে কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘প্রার্থী পিছু ২০ কোটি করে ভোটপ্রচারে মোট ৬৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। পরে বিধায়ক কিনতে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার কোটি । তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।’’ এত টাকা কোথা থেকে এল, সে প্রশ্ন তুলেছেন গহলৌতও।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে এক সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সব চেয়ে বিত্তবান এখন বিজেপি-ই। মোদী আসার পরেই তাদের সম্পত্তি বেড়েছে। আর কংগ্রেসের কমেছে। টানাটানিতে যে বিভিন্ন রাজ্যের দফতর চালানো যাচ্ছে না, তা কবুলও করেছে কংগ্রেস। বিজেপি অবশ্য বলছে, তাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সোজা পথেই। আর দল নিজেদের প্রচারের খরচ
নিজেরাই বহন করবে।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘সরকারি হিসেবেই গত দু’বছরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রচার বাবদ বরাদ্দ ১৮০০ শতাংশ বেড়েছে। ভোটের প্রচার চড়াতে তাই আগেই বাজেট গুছিয়ে রেখেছেন মোদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy