সনিয়া গাঁধী।
দলের মধ্যে দাবি উঠেছে, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সমস্ত পদে নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সাংগঠনিক নির্বাচনে যাওয়ার আগে সনিয়া গাঁধী দলের সদস্য সংখ্যা চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছেন। প্রতিটি রাজ্যকে সদস্য বাড়ানোর অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে সনিয়া বৃহস্পতিবার সব প্রদেশ সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা এবং এআইসিসি-তে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। সেখানে শুধু সদস্য অভিযান নয়, গাঁধীজির দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী পালন নিয়েও কথা হওয়ার কথা।
সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে বিজেপি নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম দল হিসেবে দাবি করে। কিন্তু কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কত, তার কোনও উত্তর মেলে না। কংগ্রেসের নেতাদের দাবি, বিজেপির সদস্য সংখ্যার মধ্যে অনেকখানিই জল মেশানো রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের নেতাদের কাছেই বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে এসএমএস এসেছে। মধ্যপ্রদেশে দলের মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী সম্প্রতি এমন মেসেজ পেয়েছেন। খবর পেয়ে প্রদেশ নেতৃত্ব জেলা কংগ্রেসের সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছেন, কংগ্রেসের কত জন নেতা-কর্মী এইরকম মেসেজ পেয়েছেন, অথবা তাঁদের নাম বিজেপির সদস্য তালিকায় রয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল রাজ্যের নেতাদের লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি থেকে একজন সাধারণ সম্পাদককে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি অভিযানের দায়িত্ব দিতে হবে। যাঁরা সদস্য হবেন, তাঁদের মেয়াদ ২০১৮ থেকে ’২২ পর্যন্ত বহাল থাকবে। সদস্যপদ গ্রহণে ৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতেই পরবর্তী সাংগঠনিক নির্বাচন হবে।
কাল সনিয়ার বৈঠকে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের নেতারা হাজির থাকছেন না। রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি আগেভাগেই কাল কলকাতার রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আর্থিক মন্দা, রাজ্যে রেশন দুর্নীতি, চড়া বিদ্যুৎ মাসুলের প্রতিবাদে জনসভার ডাক দিয়ে রেখেছিল। সেখানেই সকলে হাজির থাকবেন। তাঁদের বক্তব্য, এআইসিসি-তে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লির বৈঠকে না থাকলেও চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy