মহিলা সংরক্ষণ বিলের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তবু ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তা সংসদে পাশ হয়ে গেলে এক-তৃতীয়াংশ আসনে মহিলা প্রার্থী বাছাই করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য মহিলা কংগ্রেসকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সম্প্রতি সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেবকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল স্তরে সক্রিয় হওয়ার জন্য তিনি বলেন।
সুস্মিতাদেবীর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ‘পরছায়া’ প্রার্থী চান না রাহুলজি। তাঁর ইচ্ছে, কেউ স্বামী বা দাদার হয়ে দাঁড়াবেন না। মহিলা কংগ্রেস নেত্রী হিসেবেই সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দল যাতে হঠাৎ সঙ্কটে না পড়ে সে ব্যাপারে মহিলা কংগ্রেস বেশ কিছু পদক্ষেপ করার জন্য তৈরি হচ্ছে।’’ প্রথম পর্বে, মহিলা কংগ্রেসের বিভিন্ন উপ-শাখা গঠনে জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে মহিলা কংগ্রেসের ‘লিগ্যাল সেল’। এরই মধ্যে মহিলা কংগ্রেসের একটি ‘রিসার্চ সেল’-ও তৈরি করা হয়েছে। যুব কংগ্রেসের মতো ‘যুব মহিলা কংগ্রেস’ গঠন করা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগী হয় কংগ্রেস। কিন্তু শুরু থেকেই বিলটির বিরোধিতায় সক্রিয় হন মূলত মুলায়ম সিংহ যাদব, লালুপ্রসাদ, শরদ যাদবরা। তাঁরা পাল্টা অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের দাবিতে সরব হন সংসদের ভিতরে, বাইরে। শেষ পর্যন্ত বিলটি কার্যত ঠান্ডা ঘরে চলে যায়।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের আগেই বিলটি সংসদে পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জন্য দলীয় স্তরে বিজেপি আগাম প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে। সেই আঁচ পেয়েই কংগ্রেসও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজেপি বিষয়টি সামনে আনার আগেই কংগ্রেস বিলের ব্যাপারে সরব হতে তৈরি হচ্ছে। মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রীর আশা, ‘‘চাপের মুখে মোদীকে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করাতেই হবে। তা না হলে ক্ষমতায় ফিরে কংগ্রেস এই বিলকে আইনে পরিণত করবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy