Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
National News

স্কুল ইউনিফর্ম ‘অশ্লীল’ ও ‘উত্তেজক’, মন্তব্যে উত্তাল নেটদুনিয়া

কেরলের সেন্ট আলফোনসা পাবলিক স্কুলের ওই ইউনিফর্মই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। আর ব্যাপারটাকে যিনি মিডিয়ার সামনে নিয়ে এসেছেন সেই ফটোগ্রাফারের নাম জাকারিয়া পোলক্কুনাম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবি। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবি। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ২০:৫৪
Share: Save:

ফেসবুকে এক দিনে পাঁচ হাজারটা শেয়ার। গোটা নেটদুনিয়ায় ঘুরছে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি। সেই সঙ্গে তুমুল সমালোচনা। কমেন্ট, টুইট-রিটুইটে ঝড় বয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কী রয়েছে ছবিটিতে?

স্কুলের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তিন ছাত্রী। পরনে ইউনিফর্ম। গোলাপি-নীল চেক জামা আর তার উপর নীল রঙের হাফ-জ্যাকেট। বিতর্কের শুরু ওই ইউনিফর্মের ধরন নিয়ে। বিশেষত ওই হাফ জ্যাকেটটিকে ঘিরে। স্কুল পোশাকের সঙ্গে কোনও ভাবেই খাপ খায় না ওই জ্যাকেট। ওই পোশাক রীতিমতো অশ্লীল। স্কুল ছাত্রীদের দৃষ্টিকটূ লাগছে এই ধরনের ইউনিফর্মে। এমনই নানা মন্তব্য ঘুরছে নেট জুড়ে।

কেরলের সেন্ট আলফোনসা পাবলিক স্কুলের ওই ইউনিফর্মই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। আর ব্যাপারটাকে যিনি মিডিয়ার সামনে নিয়ে এসেছেন সেই ফটোগ্রাফারের নাম জাকারিয়া পোলক্কুনাম। তাঁর কথায়: “স্কুলের নতুন পোশাক দেখে ছবিটা তোলেন আমার এক বন্ধু। তার পর সেটা আমাকে পাঠান। ইউনিফর্মের ধরন আমার কাছে অশালীন লাগে। তাই ব্যাপারটা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে ফেসবুকে পোস্ট করি।” তাঁর মতে, এই ধরনের পোশাক কখনওই স্কুলের জন্য শোভনীয় নয়। ছাত্রীদের দেখতেও ভাল লাগছে না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এমনই মনে করছেন বলে তাঁর দাবি। তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কোঝিকোড়ের নৌসাদ থেক্কাইজি। ‘অযোগ্য ইউনিফর্ম’-এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাজার ছেয়ে গিয়েছে ‘প্লাস্টিক’ চালে, উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশ-তেলঙ্গানা

গোটা ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো অস্বস্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুরো ব্যাপারটাকেই ভুয়ো বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। ছবিটি ফেসবুকের কারসাজি বলেও মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। প্রধান শিক্ষিকার কথায়: ‘‘ভাইরাল হওয়া ছবিতে যে রকম দেখা যাচ্ছে আসল ইউনিফর্ম তার থেকে অনেকটাই আলাদা।’’ এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই পোশাকই চালু রয়েছে। ছাত্রীদের অভিভাবকেরা কখনও এমন দাবি তোলেননি। মিডিয়াই ব্যাপারটাকে নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করছে।’’ তবে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই টিমের রিপোর্ট আসার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ঝামেলা এড়াতে ছাত্রীরা ওই ‘বিতর্কিত’ হাফ জ্যাকেট ছেড়ে জামার ওপর ওভারকোট চড়িয়েই স্কুলে যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE