—ফাইল চিত্র।
হিন্দুত্ব নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তব্যে বিতর্কের হয়েছে। দিল্লিতে আন্তর্জাতিক আর্য মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করতে গিয়ে আজ নাম না করেই কংগ্রেসকে বিঁধেছেন রাষ্ট্রপতি। আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীর অবদানের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘অতীতে বারাণসীতে দয়ানন্দ সরস্বতীকে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।’’ আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতাকে কারা সভা করতে আটকে ছিলেন, তা সরাসরি না বললেও অনেকেই মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি আসলে ঘুরিয়ে কংগ্রেস তথা নেহরু পরিবারকেই বিঁধেছেন।
এ দিন রাষ্ট্রপতির মন্তব্য, ‘‘স্বামী দয়ানন্দ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে আর্য সমাজের আদর্শ প্রচার করেছিলেন। তাঁকে বিরোধিতার মুখেও পড়তে হয়েছিল। তাঁকে আটকাতে অনেক সময়ে সমাজবিরোধীদেরও ব্যবহার করা হয়েছিল। কখনও আইনি প্যাঁচের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে।’’ এই প্রসঙ্গেই বারাণসীতে সরস্বতীর সভার কথা টেনে আনেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘‘শহরে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কার কথা তুলে দয়ানন্দের ভাষণ নিষিদ্ধ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে রাজিও করানো হয়। ‘পাইওনিয়ার’, ‘থিয়সফিস্ট’-এর মতো কয়েকটি সংবাদপত্র সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তার জেরে সরকারি আদেশ বদলানো হয়। সরস্বতী আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।’’
অনেকেরই মতে কোবিন্দ আজ বোঝাতে চেয়েছেন, বাধা দেওয়ার ফলেই হিন্দুত্বের আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছিল। ম্যাজিস্ট্রেট সভার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
গত কালই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লখনউয়ে সঙ্ঘের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে ঠিক হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে এ বার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে হিন্দুত্বকে। রামমন্দির আন্দোলনই হবে দলের প্রচারের প্রধান হাতিয়ার। এমন এক রাজনৈতিক পটভূমিতে খোদ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য তাৎপর্যের। যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্র অবশ্য বলছে, কোবিন্দের বক্তব্যে কোনও রাজনীতি নেই। তিনি ইতিহাস থেকে ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। আর কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির পদের সাংবিধানিক মর্যাদা স্বীকার করেই বলছি, দয়ানন্দ সরস্বতী কোনও বিশেষ দলের সম্পত্তি নয়। তিনি গোটা ভারতের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy