কাঁধে বোমা নিয়ে জোরে জোরে হাঁটছেন অভিষেক পটেল।
কাঁধে ১০ কেজি ওজনের তাজা বোমা। সেটা নিয়েই তিনি কখনও প্রায় দৌড়ে, কখনও বা জোরে জোরে হাঁটলেন টানা ১ কিলোমিটার পথ। বন, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। বাঁচিয়ে দিলেন ৪০০টি স্কুলপড়ুয়াকে।
তিনি অভিষেক পটেল। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে সাগর থানার হেড কনস্টেবল।
শুক্রবার বিকেলে চিতোরা গ্রামের ওই স্কুলের পিছনের দিকটায় লম্বায় ১২ ইঞ্চি বা এক ফুটের ওই বোমাটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তরতাজা। ভীষণ ভারি। যে কোনও মুহূর্তে তা ফেটে যেতে পারে। কেউই তা তুলে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না। পুলিশের বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়্যাডও ছিল না ধারে-কাছে। সেটা থাকলে তো আর কোনও চিন্তাই ছিল না।
আরও পড়ুন- পুরুষ থেকে নারী হয়ে চাকরি খোয়াচ্ছেন নৌসেনা কর্মী
আরও পড়ুন- বিলাসবহুল ‘গুফা’য় বাবার যত্নআত্তিতে ২০০ শিষ্যা!
কিন্তু ওই ভাবে পড়ে থাকলে তো স্কুলপড়ুয়াদের প্রাণ সংশয় হতে পারে। অথচ, বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার লোক নেই!
শেষমেশ এগিয়ে এলেন সাগর থানার ৪০ বছর বয়সী হেড কনস্টেবল অভিষেক পটেল। ১০ কেজি ওজনের বোমাটি তুলে নিয়ে কাঁধে চাপিয়ে কখনও প্রায় দৌড়ে, কখনও বা জোরে জোরে হাঁটলেন এক কিলোমিটার। গিয়ে বম্ব ডিজপোজাল স্ক্যোয়াডের হাতে তা তুলে দিয়ে এলেন। বোমাটি কী ভাবে ওই জায়গায় এল, কারা নিয়ে এল, কিছুই জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তদন্ত চলছে।
সাগর থানার পুলিশ কর্তা সতীশ সাক্সেনা বলেছেন, ‘’খুব কাছেই রয়েছে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ। তবে স্কুলচত্বরে তা কী ভাবে এল বোঝা যাচ্ছে যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, স্কুলপড়ুয়াদের বাঁচানোর জন্য যে শৌর্যের পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক, তার জন্য তিনি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনীকে পুরস্কৃত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy