প্রতীকী ছবি।
দেশে কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৯০ লক্ষ পেরোল। আজ এই তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সুস্থতার সামগ্রিক হার এখন ৯৪.২০ শতাংশে পৌঁছেছে। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৫.৭১ লক্ষ। ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিনের মতো আজও চল্লিশ হাজারের নীচে রয়েছে। তবে গত কালের থেকে তা সামান্য বেড়েছে। কাল থেকে সুস্থের সংখ্যা অবশ্য ৪২ হাজারের বেশি। কমছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও। এখন তা ৪.১৬ লক্ষ। ওয়ার্ল্ডোমিটার্স অনুযায়ী শুক্রবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা পেরোলো ৯৬ লক্ষ।
গত কাল থেকে সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৪০ জন কোভিড রোগীর। মৃত্যুহার ১.৪৫%। এঁদের মধ্যে ১১৫ জন মহারাষ্ট্রের, ৮২ জন দিল্লির, ৪৯ জন পশ্চিমবঙ্গের। সারা দেশে মোট ১.৩৯ লক্ষ মৃতের মধ্যে ৪৭,৪৭২ জন মহারাষ্ট্রের। এই তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৮৫৭৬)। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে কর্নাটক (১১,৮২১), তামিলনাড়ু (১১,৭৪৭) এবং দিল্লি (৯৪২৪)। বঙ্গের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা তাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, সারা দেশের নিরিখে দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাক্টিভ রোগী কমলেও রাজ্যবাসী এখনও যথেষ্ট সতর্ক হচ্ছেন না। মুখের নীচে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করলেও পশ্চিমবঙ্গবাসীর একটা বড় অংশ ঠিক সেই ভুলটিই করে চলেছেন। কেরলের সংক্রমিতের সংখ্যা গত কাল ছ’হাজার পেরিয়েছিল। আজ তা সামান্য কমে হয়েছে ৫৭১৮। সুস্থও হয়েছেন ৫৪৯৬ জন। পরীক্ষার নিরিখে রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়া তথা, সংক্রমণের হার বেড়ে ৯.৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এ দিকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের মতে, দিল্লিতে সংক্রমণের হার পরপর পাঁচ দিন ৪ শতাংশের নীচে থাকলেই বুঝতে হবে, করোনার সঙ্গে যুদ্ধ জিতে গিয়েছে দিল্লি। গত কাল ওই হার ছিল ৪.৯৬ %। গত কাল থেকে রাজধানীতে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০৬৭ জন। জৈন জানান, দিল্লিতে টিকা দেওয়া ও টিকা মজুতের পরিকাঠামো প্রস্তুত। তবে কোভিডজয়ীদের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকায় প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ থেকে তাঁরা বাদ থাকবেন। টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy