প্রতীকী ছবি।
গোলাবারুদ দিয়ে নয়, এ যেন এক অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে ‘যুদ্ধ’। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় আধাসামরিক বাহিনীকে তাই যুদ্ধকালীন অবস্থার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (মেডিক্যাল)-এর তরফে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সেন্ট্র্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-কে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য শুধু কাগজেকলমে পরিকল্পনা নয়, ‘বাস্তব মহড়া’ দিয়ে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া বাতিল করা হয়েছে সমস্ত রকম ছুটি।
লাদাখ রেজিমেন্টের এক সেনা জওয়ানের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে মঙ্গলবারই। ওই জওয়ানের বাবা সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরেছিলেন। তার জেরে ওই জওয়ানের বাবা এবং তাঁর বোনও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জওয়ান এবং অফিসাররা কী করবেন এবং কী করবেন না, তার বিস্তারিত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে মন্ত্রকের মেডিক্যাল বিভাগ।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘অন্তত এক মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উড়ান, বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। এটা অত্যন্ত জরুরি। দূরে ভ্রমণ করলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা। সমস্ত অজরুরি ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। এর ফলে ভ্রমণের জন্য সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। সমস্ত বৈঠক বা বোর্ড মিটিং অন্তত এক মাসের জন্য বাতিল করুন অথবা পিছিয়ে দিন।’’ সাধারণ ভাবে কেন্দ্রের তরফে বড় জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। আধাসেনার জওয়ানদেরও একই ভাবে বলা হয়েছে, ‘‘যেখানে অল্প জায়গায় বেশি লোকের জমায়েত হয়, যেমন স্কুল, জিম, মল, খোলা বাজার, থিয়েটার, মন্দিরের মতো জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’’
আরও পড়ুন: ছেলে ঘুরলেন শপিং মলে, নিজে অফিসে! নবান্নের আমলার ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: কাল থেকে বিকেল চারটেয় ছুটি সরকারি অফিস, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
সমস্ত রকম নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলে অনলাইন বৈঠকের কথাও বলা হয়েছে। ‘‘জরুরি পরিস্থিতি হলে ভিডিয়ো কনফারেন্স করুন। কিন্তু ১০ জনের বেশি দলে মিশবেন না। সমস্ত কনফারেন্স, খেলাধুলোর কর্মসূচি থাকলে বাতিল করুন। মার্কেট ও মলে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।’’
করোনাভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর গুজব, ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। সে বিষয়ে সতর্ক করে জওয়ানদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন মেসেজ, ছবি ফরওয়ার্ড করবেন না। প্রয়োজনে এমন কোনও গুজব বা মিথ্যে তথ্য সম্বলিত কোনও কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে তা সংশোধনের চেষ্টা করবেন। তাতে আতঙ্ক ও ভয় কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy