Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Bihar

অনলাইন মনোনয়ন বিহারে, বুথে মাস্ক ও গ্লাভস

নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বুথে শারীরিক দূরত্ব-বিধি মেনেই ঢুকতে হবে। ইভিএমে ভোট দিতে যাওয়ার আগে কেন্দ্রেই প্রত্যেক ভোটারকে গ্লাভস দেওয়া হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৪:৩৭
Share: Save:

করোনা আবহে বিহার বিধানসভা ভোট এবং কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, ভোটের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ভোটকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের একটি করে কিট দেওয়া হবে, যাতে পিপিই, ফেস শিল্ড, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজ়ার থাকবে। ভোটের আগের দিন প্রতিটি বুথকে স্যানিটাইজ় করা হবে। বুথে ভোটারের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি করোনা-আক্রান্ত কেউ যাতে বুথে না-যান, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। এ জন্য আশাকর্মী বা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের কথাও ভাবা হচ্ছে।

নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বুথে শারীরিক দূরত্ব-বিধি মেনেই ঢুকতে হবে। ইভিএমে ভোট দিতে যাওয়ার আগে কেন্দ্রেই প্রত্যেক ভোটারকে গ্লাভস দেওয়া হবে। তা ছাড়া, প্রত্যেক ভোটারের হাতে স্যানিটাইজ়ার এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে বুথে আসা শিশুদের জন্য ফেসিয়াল পিপিই কিটও সরবরাহ করা হবে। বুথে ভোটারের পরিচয় জানার সময় তাঁকে মুখ থেকে মাস্ক নামানোর অনুরোধ করা হবে। বুথে ভিড় এড়াতে আগে থেকে টোকেন দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে কমিশনের।

শুধু বুথে আসা ভোটারদের জন্যই নয়, কোয়রান্টিনে থাকা করোনা-আক্রান্তদের জন্যও একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেবে কমিশন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, তাঁরা একেবারে শেষ লগ্নে ফাঁকা বুথে এসে ভোট দেবেন। তবে করোনা-আক্রান্ত ভোটারের বাড়ি কন্টেনমেন্ট জ়োনে হলে তাঁদের জন্য পৃথক বুথের কথা ভাবা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘শপিং মল খোলা, শুধু ধর্মে আপত্তি’, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই মোদীর জন্য ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’

প্রার্থীদের জন্যও বেশ কিছু নিয়মের কথা জানিয়েছে কমিশন। অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থী-সহ সর্বোচ্চ পাঁচ জন থাকতে পারবেন। কনটেনমেন্ট বিধি মেনে করতে হবে রোড শো এবং জনসভা।

তবে কমিশনের এ দিনের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, সংক্রমণ ঠেকাতে ইভিএমের বদলে ব্যালটের প্রস্তাব মানেনি কমিশন। তারা ইভিএম স্যানিটাইজ় করার কথা বললেও তা যে কার্যকরী নয়, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তা ছাড়া, গ্রাম এবং শহর এলাকায় কী ভাবে এই সব নিয়ম মানা হবে, তা নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। বিধি না মানলে কমিশন শাস্তির কথা বললেও শাসক শিবির তা কতটা মানবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেণুগোপালের দাবি, বিরোধীদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি ফের বিবেচনা করুক কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE