Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

মাস্ক-দুর্নীতি, মন্ত্রীর ইস্তফা চায় কংগ্রেস

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর প্রশ্ন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ মেনে সব দেশের সরকারকেই ভেন্টিলেটর ও মাস্ক মজুত করতে বলা হয়েছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০৪:৫৪
Share: Save:

করোনা মোকাবিলায় দেশে মাস্ক থেকে ভেন্টিলেটরের অভাব। অথচ চার দিন আগে পর্যন্ত এই সব বিদেশে রফতানির খোলা ছুট দিয়ে রেখেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর পিছনে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রর অভিযোগ তুলে কংগ্রেস আজ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রীকে সরানোর দাবি তুলল।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর প্রশ্ন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ মেনে সব দেশের সরকারকেই ভেন্টিলেটর ও মাস্ক মজুত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু হয়েছে তার ঠিক উল্টো। এ সব রফতানি রয়েছে। রাহুলের প্রশ্ন, কার কথায় এ কাজ করা হল? এটা কি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র নয়? বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিজিএফটি (ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড) ১৯ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভেন্টিলেটর, সার্জিকাল মাস্ক এবং মাস্ক ও শরীর ঢাকার কভারঅল তৈরির কাঁচামাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার আগে পর্যন্ত এই সব রফতানিতে কোনও বাধা ছিল না, শুল্কও ছিল না।

দেশে করোনা-রোগী বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার সামগ্রীর অভাবের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা গোটা দেশের মানুষ বিকেল পাঁচটায় হাততালি দিয়ে, থালা বাজিয়ে ডাক্তার-নার্সদের ধন্যবাদ জানালেও ডাক্তারদের যুক্তি ছিল, হাততালির বদলে তাঁদের সুরক্ষা সামগ্রী ও রোগীর শুশ্রুষার যন্ত্রপাতির বন্দোবস্ত করা হোক। ১৬ মার্চ দিল্লির এমস-এর আবাসিক ডাক্তারদের সংগঠন হাসপাতালের ডিরেক্টরকে চিঠি লিখে তাঁদের সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবের কথা জানিয়েছেন। সোমবার লখনউয়ের কিংস জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ডাক্তাররাও একই অভিযোগ তুলেছেন। এ দিন আগভা হেলথকেয়ারের প্রধান দিবাকর বৈশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টুইট করে বলেছেন, খুব শীঘ্রই ভেন্টিলেটর তৈরির সামগ্রীর অভাব দেখা দেওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: এক দিনে রেকর্ড আক্রান্ত, দেশে মৃত্যু বেড়ে ৯

প্রশ্নের মুখে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও বস্ত্র মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে যুক্তি দিয়েছে, ৩১ জানুয়ারিই ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার সামগ্রী, কভারঅল, এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকাল মাস্ক রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। কিন্তু শিল্পমহলের অনুরোধে এবং দেশে যথেষ্ট মাস্ক ও অন্যান্য সামগ্রী মিলবে এই আশ্বাস পেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। পরে ১৯ মার্চ ফের সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই চিন বিপুল পরিমাণে মাস্ক তৈরি শুরু করে। চিনের নিজস্ব

কাঁচামাল উত্পাদন ধাক্কা খাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা হয়। গুজরাত ও হরিয়ানার বেশ কিছু সংস্থা এই সব পণ্য চিনে রফতানি করেছিল। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার যুক্তি— আমাদের রোগী, ডাক্তার, নার্সদের জন্য শুশ্রুষার সামগ্রীর অভাব হচ্ছে যখন, এটা তখন ফৌজদারি অপরাধ। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হল, মাস্ক তৈরির কাঁচামাল ও ভেন্টিলেটর রফতানির ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিবকে বরখাস্ত করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE