Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বাঁচার দায় জনতারও, কেন্দ্রের বার্তায় বিতর্ক

বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি সংক্রমণ রোখার বিষয়টি থেকে হাতই তুলে নিল সরকার?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০৪:৫৯
Share: Save:

করোনা রুখতেও দেশবাসীকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার!

দেশ আনলক পর্বে যেতেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি যা, তাতে ভারতের রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমিত দেশ হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া আজই বলেছেন, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে ভারতেও। এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে দেশবাসীর আচরণগত পরিবর্তন কী কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে আজ একটি গানের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে নীতি আয়োগ। যে গানে মূলত মাস্ক ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্ব, বারবার হাত ধোওয়া ও যত্রতত্র থুতু না-ফেলার কথাও বলা হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের বক্তব্য, প্রতিষেধক না-বেরোনো পর্যন্ত এ ভাবেই করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। যা শুনে বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি সংক্রমণ রোখার বিষয়টি থেকে হাতই তুলে নিল সরকার? পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যাচ্ছে, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। এ দিকে কার্যত বলে দেওয়া হল, এখন থেকে সংক্রমণ রোখার দায় জনগণের। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা থেকে বাঁচবেন, নইলে নয়।

গোড়া থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, লকডাউন ব্যর্থ। জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, স্পেনের মতো দেশে লকডাউনের ফলে সংক্রমণ কমেছে। অথচ ভারতে ঠিক উল্টো ছবি। এ দেশে এখন রোজই রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগী। সরকারের যুক্তি ছিল, ভাইরাসের বিস্তার রোখার চেয়েও দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য লকডাউন করা হয়েছিল। আজ ওই প্রচার অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, ‘‘সরকার সংক্রমণ রুখতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে। এখন দেশবাসীকে এগিয়ে এসে আচরণগত পরিবর্তন করতে হবে, লড়তে হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। তবেই ভাইরাস রোখা সম্ভব হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coroanvirus Coronavirus in India COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE