Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘সরঞ্জামের অভাব জানালেই হেনস্থা’

এই বিপদের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত ভুল-ত্রুটি-খামতি ফুটে উঠলে, তাতে সরকারেরই সুবিধে।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৭
Share: Save:

করোনার সঙ্গে যুঝতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম না-পাওয়ার অসুবিধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরায়, হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ডাক্তারদের। পড়তে হচ্ছে সরকারি কর্তাদের আক্রমণের মুখে। সোমবার এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল দিল্লি এমসের আবাসিক ডাক্তারদের সংগঠন। সরঞ্জামের অপর্যাপ্ত জোগানের কথা সরকারকে জানাল সফদরজং হাসপাতালও। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যা দেশের রাজধানীর নোডাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো চিঠিতে এমসের ডাক্তাররা লিখেছেন, পিপিই, করোনা পরীক্ষার কিট থেকে শুরু করে কোয়রান্টিনের বন্দোবস্ত, মারণ ব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোথায়-কোথায় অসুবিধের মুখে পড়তে হচ্ছে, সম্প্রতি তা জানাতে এগিয়ে এসেছেন অনেক ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী।

এই বিপদের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত ভুল-ত্রুটি-খামতি ফুটে উঠলে, তাতে সরকারেরই সুবিধে। কারণ, তা জেনে নিয়ে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন সরকারি কর্তারা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, এ নিয়ে মুখ খুললে, উল্টে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ধেয়ে আসছে কড়া আক্রমণ।

এই ডাক্তারদের ক্ষোভ, যেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হচ্ছে, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রথম সারিতে থাকা সৈনিক বলে উল্লেখ করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, সেখানে তাঁদের অভাব-অভিযোগ তো সরকারের কান পেতে শোনার কথা। তার বদলে তাঁদের এমন আক্রমণের শিকার হতে হবে কেন!

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তাঁদের সম্মানে ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর বিকেলে বাড়ি থেকে হাততালি দিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত কাল প্রদীপ জ্বালানোর সময়েও মনে করতে বলেছিলেন তাঁদের কথা। এ বারের ‘মন কি বাত’-এও ডাক্তারদের রাত-দিন এক করে এই সেবার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই সব কিছুর পরেও তাই খাস দিল্লিতে অসুবিধা তুলে ধরার কারণে এমসের ডাক্তারদের আক্রোশের মুখে পড়তে হবে কেন, সেই প্রশ্ন তাই থাকছেই।

সফদরজং হাসপতালের ডাক্তারেরাও চিঠিতে জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় ৮০৭ শয্যার ওই কেন্দ্র সামাল দিতে যে সরঞ্জাম প্রয়োজন, তা হাতে পাচ্ছেন না তাঁরা। এই মুহূর্তে ৫০ হাজার পিপিই, ৫০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক, ৩ লক্ষ ত্রিস্তরীয় (ট্রিপল লেয়ার) মাস্ক এবং ৫০০ মিলিলিটারের ১০ হাজার স্যানিটাইজ়ারের বোতল জরুরি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE