Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in India

কোভিড রোগী ১ লক্ষ ছাড়ালেও আতঙ্কিত না হতে দিল্লিবাসীকে পরামর্শ কেজরীর

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আশ্বাস, আতঙ্কিত হবেন না। প্রতীকী ছবি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আশ্বাস, আতঙ্কিত হবেন না। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ১৫:০৬
Share: Save:

রাজধানীতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। প্রতি দিনই প্রায় হাজার জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটছে। তা সত্ত্বেও দিল্লিবাসীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আশ্বাস, আতঙ্কিত হবেন না। যুক্তি হিসাবে তাঁর দাবি, আক্রান্তের সংখ্যাটা বেশি হলেও ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রায় ৭২ হাজার মানুষ। করোনায় মৃতের সংখ্যাও কমেছে। সেই সঙ্গে দু’সপ্তাহে কমেছে জনসংখ্যার অনুপাতে কোভিড পজিটিভ রোগীর হারও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার দিল্লির করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৪৪৪ জন। যদিও এ দিন কেজরীবাল বলেন, “দিল্লিতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।” দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দিল্লি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তা সত্ত্বেও আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন কেজরীবাল। তাঁর কথায়, “দিল্লিতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, প্রায় ৭২ হাজার ইতিমধ্যেই সুস্থও হয়ে উঠেছেন।”

কোভিড-নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার যে তৎপর, তা নিয়েও সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেজরীবাল। কোভিড রোগীদের জন্য দিল্লিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ-এর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। লোকনায়ক (এলএনজেপি), গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) এবং রাজীব গাঁধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মতো রাজধানীর তিনটি বড় সরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ বেডের সংখ্যা বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ। বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েছে দিল্লি সরকার। পাশাপাশি, কেজরীবালের দাবি, করোনায় আক্রান্ত হলেও বহু রোগীকেই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হচ্ছে না। বাড়িতেই চিকিৎসা করিয়ে সেরে উঠছেন তাঁরা। কেজরীর দাবি, “দিল্লির প্রায় ২৫ হাজার অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর মধ্যে ১৫ হাজার মানুষের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজধানীতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭। সে প্রসঙ্গে কেজরীবালের দাবি, “দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারও অনেক কমে এসেছে।”

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪২৪৮, সংক্রমণে রাশিয়াকে টপকে বিশ্বে তৃতীয় ভারত

আরও পড়ুন: গালওয়ান থেকে সেনা সরাচ্ছে চিন, তৈরি হল বাফার জোন

গত কাল এ নিয়ে একটি টুইটে কেজরী বলেছিলেন, “গত সপ্তাহে প্রতি দিন প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন করে নতুন রোগী দেখা গেলেও হাসপাতালে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ৬ হাজার ২০০ থেকে কমে হয়েছে ৫ হাজার ৩০০। এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালে ৯ হাজার ৯০০ বেড খালি পড়ে রয়েছে।”

করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরও বেশি করে প্লাজমা দানের আর্জিও করেছেন কেজরীবাল। তিনি বলেন, “দেশের মধ্যে আমরাই সবচেয়ে প্রথম করোনা প্লাজমা ব্যাঙ্ক চালু করেছি।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “আমাদের ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, মাঝারি আশঙ্কা রয়েছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।” তবে তিনি আরও বলেন, “প্লাজমার প্রয়োজন রয়েছে, এমন মানুষের থেকে প্লাজমাদানকারীদের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। সকলের কাছে আমার আর্জি, প্লাজমাদানের যোগ্য হলে এগিয়ে আসুন, প্লাজমা দান করুন। এর জন্য কোনও রকম ব্যথা বা দুর্বলতা হবে না। প্লাজমা দানকারীরা সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ সেবা করছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE