Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in India

রোগ রুখতে জল জোগানোর নির্দেশ

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বার বার সাবান-জলে হাত ধোয়া তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাসই আপাতত প্রধান হাতিয়ার বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

ছবি রয়টার্স।

ছবি রয়টার্স।

ঋজু বসু
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪০
Share: Save:

করোনা প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান অবলম্বন বিশুদ্ধ জল। দেশের সকলের কাছে নিখরচায় সেই পরিস্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট।

একটি জনস্বার্থ মামলায় শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। তবে বুধবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব পরমেশ্বরন আয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও সদুত্তর মেলেনি। ‘‘সর্বত্র জল পৌঁছে দেওয়ার জন্যই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের নানা প্রান্তের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক চলছে,’’ বলেন কেন্দ্রীয় জল জীবন মিশনের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বার বার সাবান-জলে হাত ধোয়া তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাসই আপাতত প্রধান হাতিয়ার বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের তরফেও বিশ্বব্যাপী মহামারি বা অতিমারি প্রতিরোধে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। তবু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হাত ধোয়ার জন্য সকলের কাছে পর্যাপ্ত জল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী রোহিত সামহোত্র এবং নেদারল্যান্ডসের গ্রুপিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষিকা রিতুম্ব্রা মানুভির তরফে ওই মামলায় আবেদন জানানো হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, জল শক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং স্বচ্ছ ভারত মিশন দেশে সকলের কাছে পরিষ্কার জল পৌঁছে দিতে কী রূপরেখা তৈরি করেছে, তা জানতে চাওয়া হোক। এর আগে একাধিক মামলায় সর্বোচ্চ আদালত জীবনের অধিকার এবং দূষণমুক্ত জলের অধিকার সমার্থক বলে উল্লেখ করেছে। সেই সূত্র ধরে অতিমারির পটভূমিতে বিশুদ্ধ জলের অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উনুনে রান্নার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বা হাতশুদ্ধির ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে। সেই জন্য হাতশুদ্ধির ব্যবহার নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশিকা দিক সরকার।

নর্দমা ও নিকাশির জলে নোভেল করোনাভাইরাসের জীবিত থাকার বিষয়টি মনে করিয়ে নিকাশিকর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বর্মবস্ত্র পোশাক দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে ওই জনস্বার্থ মামলায়। রিতুম্ব্রা বলেন, ‘‘দেশে ৫৪ কোটি মানুষেরই পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা পরিকাঠামো অধরা। ৩৮ কোটি মানুষ জলবাহিত রোগে ভোগেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এই ছবিটা এখনই পাল্টানো জরুরি।’’ কেন্দ্রের সাড়া না-মিললে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখা এবং জলবিরল রাজ্যগুলিতে হাইকোর্টে মামলার পরিকল্পনা রয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE