Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News. Coronavirus

তবলিঘি জামাতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর, ফেরার নিজামউদ্দিনের মওলানারা

স্থানীয় একটি সূত্রে খবর, গত শনিবার শেষ দেখা গিয়েছিল মওলানা সাদকে। তার পর থেকেই এলাকাছাড়া।

তবলিঘি জামাতে আসা লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ছবি: পিটিআই

তবলিঘি জামাতে আসা লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৫৭
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেও জমায়েত হয়েছিল। লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে মসজিদে গাদাগাদি হয়ে ছিলেন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে হাজার দু’য়েক লোক। তাই মহামারি আইনে এফআইআর দায়ের হতেই ফেরার দিল্লির তবলিঘি জামাত এবং মারকজ নিজামউদ্দিন মসজিদের মওলানারা। পুলিশ হন্যে হয়ে তাঁদের খুঁজছে।

লকডাউন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে জারি হওয়া নির্দেশিকা অমান্য করে নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিলেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও ছিলেন। ওই জামাতের উদ্যোক্তা এবং মসজিদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই মতো মঙ্গলবারই মূল অভিযুক্ত মওলানা সাদ-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব। কিন্তু তার পর থেকে আর তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সাদ ছাড়াও এফআইআর দায়ের হয়েছে, জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সইফি, ইউনুস, মহম্মদ সলমন এবং মহম্মদ আশরফের নামে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, এই সব ব্যক্তি জমায়েতের জন্য দায়ী। তাঁরাই দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের নিজামউদ্দিন মসজিদে জমায়েত এবং থাকার অনুমোদন দিয়েছেন। এমনকি, ২৪ মার্চ লকডাউনের দিন তাঁদের নোটিস দেওয়া হলেও তাঁরা তা মানেননি।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আসরে ডোভাল, পুলিশ-গোয়েন্দা যৌথ অভিযানে খালি করা হল নিজামউদ্দিন

আরও পড়ুন: লকডাউন: পাকিস্তানের ছবি পার্ক সার্কাসের বলে ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

স্থানীয় একটি সূত্রে খবর, গত শনিবার শেষ দেখা গিয়েছিল মওলানা সাদকে। তার পর থেকেই এলাকাছাড়া। অন্যদেরও ওই সময়ের কিছু আগে-পরেই এলাকায় দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার কয়েক জন। পুলিশের অনুমান, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই সাত জন।

মার্চ মাসের শুরু থেকে দু’সপ্তাহ ধরে ওই মসজিদে ধর্মীয় জমায়েত চলেছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জমায়েতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কিরঘিজস্তান-সহ বহু দেশের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। কিন্তু ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষের পরেও নিজামউদ্দিন এলাকাতেই থেকে যান হাজার দুয়েক মানুষ। তার মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আবার ওই প্রতিনিধিদের অনেকে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছেন। সেই অনুযায়ী সব রাজ্যকে আলাদা করে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ওই জমায়েতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকশো জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছলেন, তাঁদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। ফলে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সরকার তথা রাজ্য প্রশাসনগুলির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Nizamuddin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE