ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে৷ গত কালও রাজ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী ৪ অগস্ট ভোর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। তিনি এ দিন মেনে নিয়েছেন যে, ভিন্ রাজ্য থেকে পরিযায়ী মানুষেরা ফিরে আসার পর থেকে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ত্রিপুরায়| কার্যত, বিরোধীদের আনা অভিযোগই এ দিন স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার দাবি তুলেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তা কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে না বলেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে দাবি করেছিল তারা।
বিপ্লব এ দিন জানান, রাজ্যে মঙ্গলবার ৬১৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২২ জনের কোভিড-পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা সংক্রমিতের সন্ধানে সারা ত্রিপুরায় সমীক্ষা চলছে৷ তার মধ্যে ৫৬,৮৭৫ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১৯৬ জন সংক্রমিতের সন্ধান মিলেছে। আজ তিন দিনের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল| কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি ভাল নয় বুঝে ৪ অগস্ট ভোর পর্যন্ত্ এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। করোনা সংক্রমিত খুঁজতে যে সমীক্ষা চলছে, তাতে বিভিন্ন জায়গায় বাধা আসছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিরোধী দলগুলির কাছে এই বিষয়ে সাহায্য চেয়েছেন|
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হোম আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। যদিও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শই প্রাধান্য পাবে। এই ক্ষেত্রে এইচআইভি, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে রাখা হবে না৷ ষাটোর্ধ্ব এবং কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy