Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

লকডাউন অমান্য মানে জীবন নিয়ে খেলা, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

লকডাউনের জেরে সমস্যার জন্য প্রথমেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মোদী। কেন লকডাউন প্রয়োজন, তাও ব্যাখ্যা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১১:০৮
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেই লকডাউন চলবে। তার জেরে কার্যত স্তব্ধ গোটা দেশ। সেই আবহেই আজ রবিবার 'মন কি বাত'-এ দেশবাসীকে ফের ঘরবন্দি থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেছেন, লকডাউন অমান্য করা মানে জীবন নিয়ে খেলা। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন, ''করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা জিতবই।''

পরিকল্পনা ছাড়া আচমকা লকডাউন ঘোষণা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মোদী। সাধারণ মানুষও অনেকে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। সেই সব সমস্যার জন্য প্রথমেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মোদী। তবে একই সঙ্গে কেন লকডাউন প্রয়োজন, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ''রোগের নিয়মই হল শুরুতেই প্রতিরোধ করা। সেই কারণেই লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। সবাই সেটা মেনে চলুন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।''

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছে, যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে আছেন, তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''এই ধরনের কিছু অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু এটা বুঝতে হবে, স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে থাকা পরিবারের সদস্যরা দায়িত্বশীল। তাঁরা আক্রান্ত নন, কিন্তু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকাতেই তাঁরা ঘরবন্দি থাকছেন। তাঁদের সাহায্য করুন।''

আরও পড়ুন: দেশে হাজার ছুঁতে চলল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু ২৫ জনের

লকডাউনের জেরে গৃহহীন, ভিক্ষাজীবী, ভবঘুরেদের খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, আপনার আশপাশে কেউ অভুক্ত থাকলে, তাঁকে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। তাঁদের পারলে খেতে দিন।'' আবার এই মন কি বাতের মধ্যেই কথা বলেছেন দুই করোনা আক্রান্তের সঙ্গে এবং করোনার চিকিৎসা করছেন, এমন দুই চিকিৎসকের সঙ্গে। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা, ২০০ কিমি হেঁটে রাস্তাতেই মৃত্যু যুবকের

প্রতি মাসের শেষ রবিবার এই রেডিয়ো অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশের মানুষের প্রতি বার্তা দেন। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অনেক আলাদা। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে মোদীর এ বারের মন কি বাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

লাইভ আপডেট

• আমরা এই লড়াই জিতবই। আপনারা সবাই ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন

• আজ ভারতবাসী ঘরবন্দি। কিন্তু এই ভারতবাসীই এক সময় উন্নয়নের জন্য সব প্রতিবন্ধকতা দুরে সরিয়ে এগিয়ে যাবে

• এর পাশপাশি কেউ অভুক্ত, অনাহারে থাকলে তাঁদের আহারের ব্যবস্থা করুন

• প্রতিটি ভারতবাসীর প্রতিজ্ঞাই আমাদের এই সঙ্কট থেকে মুক্ত করবে

• কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্ত হবই

• করোনার এই পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে

• এই সুযোগ আপনার বাইরে বেরনো বন্ধ করেছে, কিন্তু ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করুন

• অনেককেই দেখছি, তবলা, গিটারের মতো সরঞ্জাম ফের বের করে নতুন করে চর্চা শুরু করেছেন

• ভুবনেশ্বর, কলকাতা থেকে অনেকেই লিখেছেন, অনেক বই পড়ছেন তাঁরা

• আপনারাও স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন

• পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাল সময় কাটানোর সুযোগ মিলছে

• অনেকেই বলছেন, লকডাউন পারিবারিক সম্পর্কে মজবুত করেছে

• এই দুঃসময়ে সামাজিক দূরত্ব বাড়ান, মানসিক দূরত্ব কমান

• এরা আক্রান্ত নন, শুধুমাত্র সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজেরাই কোয়রান্টিনে রেখেছেন

• এঁরা কেউ দোষী নন, এরাঁ নিজেরাই দায়িত্বশীল

• যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে আছেন, তাঁদের সঙ্গে অনেকে খারাপ ব্যবহার করছেন

• কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও আমার কানে এসেছে

• এই সব লোকদের জন্য আমার অভিবাদন

• এখনও মোবাইল পরিষেবা পাচ্ছেন, অন্য বহু পরিষেবা পাচ্ছেন

• এই লকডাউনের সময়েও আপনারা ঘরে বসে টিভি দেখছেন, এর পিছনে বহু মানুষ কাজ করছেন

• এই সময়েও ব্যাঙ্ক খোলা রয়েছে। তাঁদের এই পরিষেবার জন্য আমরা অভিবাদন জানাই

• সেই সব দোকানদার, গাড়ি চালকদের কথা ভাবুন, তাঁরা নিরন্তন পরিষেবা দিয়ে চলেছেন

• আপনার ভাবুন, এক দিন আপনাদের ঘরের বিদ্যুৎ বা জল চলে যায়, তখন এই দৈনন্দিন জীবনের হিরোই আমাদের কাজে আসে

• এঁদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা করানো হয়েছে

• আপনারা যাঁরা কাজ করছেন, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সবার স্বাস্থ্যের জন্য আমরা উদ্বিগ্ন

• সারা বিশ্বের সমস্ত নার্সিং পরিবার একটা অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি

• দেশের সমস্ত নার্সদের আমি প্রণাম করি

• মোদীর বক্তব্য: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ডক্টর। আমরা এই লড়াইয়ে জিতবই

• চিকিৎসকের বক্তব্য: আমরা বলে দিচ্ছি, সময়ে সময়ে হাত ধুয়ে নেওয়ার জন্য, হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে রুমাল দিতে এবং ঘরের মধ্যেই থাকতে।

• মোদীর প্রশ্ন: বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকার জন্য কী কী বলছেন?

• চিকিৎসকের বক্তব্য: আমি পুণে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। এখান থেকে ১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আরও অনেকের চিকিৎসা চলছে। তাঁদেরও অধিকাংশই ভাল আছেন। এখন যুবকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই রোগ কঠিন কিছু নয়। মৃদু সংক্রমণই বেশি। তাই এই রোগ খুব ভয়ঙ্কর নয়। সন্দেহভাজন এলেই টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। পজিটিভ হলে ওয়ার্ডে, না হলে বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে।

• আরও এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

• করোনার চিকিৎসা করা এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললেন মোদী

• মোদীর বক্তব্য: আপনার পরিবার সুস্থ হয়েছে, আপনারা সুস্থ থাকুন। এত বড় বিপদের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরেও আপনার মনোবল অত্যন্ত কঠিন। আপনাদের পরিবারের সবাইকে শুভকামনা।

• অশোকের উত্তর: আমার দুই ছেলে ইটালিতে কাজ করেন। জুতোর কারখানায়। দেশে ফেরার পর করোনার সন্দেহ হয়। তখন দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হই। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওঁদের। তার পর আমাদের পরিবারের সবাইকে সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও টাকা দিতে হয়নি। তার পর হাসপাতালে গিয়ে আমাদের পরিবারের ছ'জনেরই পজিটিভ হয়। চিকিৎসকরা খুব ভাল চিকিৎসা করেছেন। তার পর আমরা সুস্থ হয়ে উঠেছি।

• মোদীর প্রশ্ন: আপনি এই আক্রান্ত হওয়ার বিষয় কখন জানতে পারলেন?

• (আগ্রার অশোক কপুরের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী)

• চিকিৎসকরা ভাল ভাবে সুস্থ করে তুলেছেন

• কী ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, কী ভাবে সুস্থ হয়েছিলেন সেই সব বিষয় মোদীর সঙ্গে শেয়ার করলেন ওই আক্রান্ত

• এক করোনা আক্রান্তের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

• লকডাউনের সব নিয়মকানুন মেনে চলুন

• নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন

• এটা আপনাদের জন্য, আপনাদের সবার জন্য

• সেই কারণেই লকডাউন জারি হয়েছে

• সেটাই করার চেষ্টা চলছে

• রোগের নিয়ম হল, শুরু থেকেই প্রতিরোধ করতে হবে

• কিন্তু এ ছাড়া কোনও উপায় নেই

• তার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী

• লকডাউনের জেরে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE