ছবি: পিটিআই।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার চাপের মুখে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য কংগ্রেসের এক হাজার বাসকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
ঔরৈয়ার দুর্ঘটনার পরে যোগীর উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘রাজনীতি করার সময় এটা নয়। হাজার হাজার শ্রমিক খিদে, তৃষ্ণা সঙ্গী করে বাড়ি পৌঁছতে রাস্তায় নেমেছেন। ওঁদের সাহায্য করা উচিত। আমাদের খালি বাসগুলি উত্তরপ্রদেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে বাসগুলি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।’’ এর পরে শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে প্রিয়ঙ্কার সমালোচনায় নামেন যোগী। আর দিল্লির রাস্তায় নেমে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর দেখা করার ঘটনাকে ‘নাটক’ আখ্যা দেন নির্মলা সীতারামন।
কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনা, মৃত্যু এবং পথচলা শ্রমিকদের নিয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলি সামনে আসতে থাকায় চাপে বিজেপি। যোগী সরকার প্রিয়ঙ্কার অফিসে চিঠি লিখে বাসগুসি ও চালকদের তথ্য চেয়েছে। তবে আজও কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি যোগী। ঔরৈয়ার দুর্ঘটনার পরে তাঁর ইস্তফার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। যোগী পাল্টা যুক্তি দেন, ওই দুর্ঘটনায় শ্রমিক বোঝাই একটি ট্রাক এসেছিল রাজস্থান থেকে। অন্যটি পঞ্জাব থেকে। দু’রাজ্যেই কংগ্রেসের সরকার। যোগীর কটাক্ষ, ‘‘শ চুহা খা কর, বিল্লি হজ কো চলি।’’ চাপান-উতোরের মধ্যেই ঔরৈয়ার মৃতের সংখ্যা সাতাশে পৌঁছেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের অভিযোগ, বিজেপি যে গরিবের শত্রু আর ধনীর বন্ধু— শ্রমিকদের অবস্থাই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ লক্ষ ছুঁইছুঁই, কেন্দ্র তা-ও সন্তুষ্ট
আরও পড়ুন: লকডাউন বিধি মানা নিয়ে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল কেন্দ্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy