প্রতীকী ছবি।
সার্ক দেশগুলির বাণিজ্য কর্তাদের ভিডিয়ো কনফারেন্স বয়কট করল পাকিস্তান। গত কালের এই সম্মেলনে পাকিস্তান ছাড়া যোগ দিয়েছে বাকি সব সদস্য দেশ। পাকিস্তানের পক্ষে জানানো হযেছে, এই বৈঠকে সার্ক সচিবালয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে তারা যোগ দিচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক উদ্যোগ তৈরির লক্ষ্যে মার্চে সার্ক নেতাদের নিয়ে ভি়ডিয়ো বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে একটি সার্ক তহবিলও গঠন করা হয়েছিল নয়াদিল্লির সক্রিয়তায়। সেই তহবিলে অবশ্য ৩০ লক্ষ ডলার দিয়েছে পাকিস্তান। মনে করা হচ্ছে, একঘরে হয়ে পড়া আটকাতেই এই পদক্ষেপ। সে দেশের বিদেশন্ত্রক গত কালই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স তখনই কার্যকরী হয় যখন তার নেতৃত্ব দেয় সার্ক সচিবালয়। যে হেতু তাদের ডাকা হয়নি, পাকিস্তান অংশ নিচ্ছে না। সার্ক-এর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সচিবালয়কে তার দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে।‘
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যাটা নেতৃত্ব নিয়েই। ভারত যে ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে সামনে রেখে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে নেতৃত্বের আসন নিচ্ছে, তা মানতে পারছে না ইমরান সরকার। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তারা সর্বতোভাবে চিনের উপরেই নির্ভর করে চলছে। আর তাই অজুহাত দেখিয়ে এই গোষ্ঠী উদ্যোগ থেকে সরে গেল পাকিস্তান।
সার্ক দেশগুলির মধ্যে ভারতই প্রথম উদ্যোগী হয় এই থমকে থাকা আঞ্চলিক গোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলে প্রতিবেশী বলয় থেকে করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করতে। শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর সার্ক-এর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকও হয়। স্থির হয় একটি সাধারণ মঞ্চ গড়ে তোলা হবে যেখানে সমস্ত দেশ একে অন্যের চিকিৎসা পরিষেবা, গবেষণা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি দেখতে পাবে। গত কাল সার্ক দেশগুলির বাণিজ্য কর্তাদের বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান চালু রাখা নিয়ে কথা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy