গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ভারতে করোনার শঙ্কা বেড়েই চলেছে। বুধবার সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৫১ হাজার ৭৬৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন আরও ছ’হাজার ৩৮৭ জন। এই নিয়ে পর পর ছ’দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছ’হাজার করে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭০ জনের। তার জেরে সারা দেশে করোনায় মোট মৃত চার হাজার ৩৩৭ জন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে ৭০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, তা ২.৮৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৫৪ হাজার ৭৫৮। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭৯২ জনের। সারা দেশে মোট আক্রান্তের তিন ভাগের এক ভাগই মহারাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাতেও। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭২৮ জন। গুজরাতে মোট করোনা রোগী এখন ১৪ হাজার ৮২১ জন। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৬৫ জন। এ ছাড়াও সংক্রমণ বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ (৭০২৪), রাজস্থান (৭৫৩৬), উত্তরপ্রদেশ (৬৫৪৮), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩১৭১)-সহ একাধিক রাজ্যে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎহীন এক লক্ষ, সিইএসসি-র উপর চাপ রাখছে রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজার ৯। এ রাজ্যে মোট ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১১। এ ছাড়াও কো-মর্বিডিটিতে আরও ৭২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই প্রতিদিন অনেক মানুষ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৪৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সারা দেশেই করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার হার এখন আগের থেকে বেড়ে ৪১.৬১ শতাংশ হয়েছে। সারা দেশে মোট ৬৪ হাজার ৪২৬ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: চড়া সুর চিনের, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রস্তুত ভারতও
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy