অসমের কৃষি বিভাগে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের তদন্তভার হাতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দীর্ঘ দিন ধরে কৃষি বিভাগের প্রাক্তন মন্ত্রী নীলমণিসেন ডেকা ও একাংশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। এ বছর মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় নীলমণিকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। কৃষি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় রকিবুল হুসেনকে।
কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি ও অসম পাবলিক ওয়ার্কস অভিযোগ তোলে, কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন তিন বছরে নীলমণি গুয়াহাটি ও অন্য জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। বাড়ির রাঁধুনি ও অন্য আত্মীয়ের নামেও সম্পত্তি কিনেছেন। বেনামে আত্মীয়দের দিয়েছেন ঠিকাদারির বরাত।
নীলমণির নামে ও কৃষিবিভাগের দুর্নীতি নিয়ে সিআইডি-র কাছে দু’টি এফআইআর জমা পড়ে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও কাজ এগোয়নি। বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ ছিল, সিআইডি তদন্তকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে। পরে, অসম পাবলিক ওয়ার্কস বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি পাঠায়। ডেকার কার্যকালে ‘গ্রিন রেভেলিউশন’, ‘টেকনোলজি মিশন’, ‘রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা’, ‘ভেজিটেবল ইনিসিয়েটিভ ফর আরবান ক্লাস্টার’, ‘আত্মা’, ‘এরিয়াস্প’-এর মতো প্রকল্পগুলির জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ২৯১ কোটি টাকাই খরচ হয়েছে বলে রাজ্য সরকার বিধানসভায় তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু প্রকল্পগুলির কাজ বাস্তবে কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। কৃষক মুক্তি, আসাম পাবলিক ওয়ার্কস ও বিজেপির অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে অধিকর্তা পর্যন্ত অনেকেই এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। এর পরই, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইডির সহকারী অধিকর্তা দেবজিৎ বরা জানান, সিআইডি-র দু’টি মামলার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। সিআইডি-র কাছে থাকা সব নথিপত্র ইডি সংগ্রহ করবে। আপাতত ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতি হলে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে।
কৃষিমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, “উন্নয়নের জন্য আসা টাকা আত্মসাৎ করা হলে তা নিন্দনীয়। দোষ প্রমাণিত হলে মন্ত্রী হোক বা কর্মচারী সকলেই শাস্তি পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy