সোনাইয়ের বিজেপি বিধায়ক আমিনুল হক লস্করকে ছুরি মেরে জখম করার মামলায় রায় শোনাল শিলচর আদালত। তিন জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সহকারী জেলা ও দায়রা বিচারক এ এম মহিউদ্দিন।
ঘটনাটি ১০ বছর আগের। সেই সময় অবশ্য বিধায়ক ছিলেন না আমিনুল হক। তবু ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সঙ্গে ছিলেন। তাঁকে নিয়েই আমিনুল হক লস্কর লক্ষ্মীপুর মহকুমার জয়পুর থেকে ফিরছিলেন। পথে তাঁকে ফোন করেন আনোয়ার হোসেন মজুমদার ওরফে টনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। ঘনিয়ালায় দেখা হয় তাদের। দু’জন দুই গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, পিছনে অন্য গাড়িতে ছিলেন টনির দুই ভাই রমি হোসেন মজুমদার ও কমর হোসেন মজুমদার। হঠাৎ তারা গাড়ি থেকে নেমে আমিনুলের দিকে এগিয়ে আসে। দেহরক্ষী তখন তাদের গতিরোধ করতে চান। তখনই টনি তাঁর পেটে ছুরি চালিয়ে দেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানান আমিনুল।
আজ সেই মামলার রায়ে বিচারক তিন ভাইকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনান। সরকারি আইনজীবী সৌমেন চৌধুরী জানিয়েছেন, খুনের চেষ্টায় (ধারা ৩০৭) তাদের তিন বছর এবং মারাত্মক আঘাত করার (ধারা ৩২৬) জন্য দু’বছর কারাবাসের রায় হয়েছে। তবে দু’টি সাজা একইসঙ্গে চলবে বলে শুধু তিন বছর জেলে থাকতে হবে তাদের।
পরে অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানালে আদালত তিন ভাইয়েরই জামিন মঞ্জুর করে। টনির দাবি, তিনি মোটেও আমিনুল হককে ছুরি মারেননি। ফলে আপিল মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।
বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর আদালতের রায় নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না।
খুনের দায়ে ধৃত ২। কাটলিছড়ায় হোসেন আহমেদের খুনের অভিযোগে ধৃত বাবা, ছেলেকে আদালতে পেশ করল পুলিশ। গত কাল বিকেলে ধলাই প্রথম খণ্ডের আফতার আলি ও তার পুত্র আলি হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। কাটলিছড়া থানার সেরেস্তাদার সুবিমল নাথের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযুক্তদের পাকড়া করতে গেলে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, জুন মাসে খুন হয়েছিলেন হোসেন আহমেদ। তাঁকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে আফতার আলি ও তার ছেলে আলি হোসেনের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy