ফাইল ছবি
সমাজকর্মী ও মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে পথে নেমে প্রধানমন্ত্রীকেই পাল্টা ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিল বামেরা! একই প্রশ্নে শহরে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা করলেন বিদ্বজ্জনেরা।
দেশ জুড়ে সমাজকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে বৃহস্পতিবার ধর্মতলা থেকে এন্টালি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল ১৭টি বাম দল। মিছিলে ভিড় হয়েছিল ভালই। মিছিলের জেরে মধ্য কলকাতায় দীর্ঘ যানজটও হয়েছে। এন্টালি মার্কেটে মিছিল শেষে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘যে কোনও কাউকে ধরে এখন দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা বলছি, সব চেয়ে বড় দেশদ্রোহীর নাম নরেন্দ্র মোদী! দেশের মানুষের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’’ নোট বাতিল থেকে শুরু করে পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিমা-পেনশনের টাকা শেয়ার বাজারে ছে়ড়ে দেওয়া থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে অকেজো করে দেওয়া— এমনই নানা দৃষ্টান্তের উল্লেখে করেছেন সূর্যবাবু। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখন যে কাজ করছেন, এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী আগেই সেটা শুরু করেছেন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। প্রতিবাদ করলেই গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। আর বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, ‘‘ধৃত পাঁচ জনের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি আমরা। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে মোদী সরকার। আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’’
নাট্য অ্যাকাডেমিতে এ দিনই বৈঠকে বসে বিদ্বজ্জনেদের একাংশ ঠিক করেছেন, শিশির মঞ্চে ২ সেপ্টেম্বর তাঁরা প্রতিবাদ সভা করবেন। নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের কথায়, ‘‘হিন্দি ছবির কায়দায় রাজ্যে রাজ্যে অভিযান চালিয়ে প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করা হয়েছে! প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার ভয়ঙ্কর চেষ্টা চলছে। এই প্রবণতার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করছি, সকলকেই প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy