প্রতীকী ছবি।
সাংসদ কমেছে। দিল্লিতে মাথা গোঁজার ঠিকানার টানাটানি শুরু হয়েছে সিপিএম নেতাদেরও। নতুন লোকসভায় এ বার সিপিএমের মাত্র তিন জন সাংসদ জিতে এসেছেন। আর রাজ্যসভায় রয়েছেন পাঁচ। সাংসদদের জন্য বরাদ্দ বাংলো-ফ্ল্যাটেই কমিউনিস্ট নেতারা ভাগাভাগি করে থাকেন। কিন্তু সাংসদদের সঙ্গে ফ্ল্যাট-বাংলোর সংখ্যাও কমে যাওয়ায় দিল্লিতে থেকে পার্টির কাজ করা নেতাদের আস্তানাও কমেছে। ফলে বেশ কিছু কর্মীকে নিজের রাজ্যে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পাঁচ বছর আগের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে সিপিএমের সাংসদ কমে আসার পরেই সঙ্কটের শুরু। তার পরে সীতারাম ইয়েচুরি রাজ্যসভা থেকে বিদায় নেন। তাঁর ফিরোজ শাহ রোডের বাংলোও হাতছাড়া হয়ে যায়। ইয়েচুরি সেখানে থাকতেন না। পার্টির বিভিন্ন গণ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে থাকতেন। এখন ক্যানিং লেনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইয়েচুরির জন্য একটি বাংলো বরাদ্দ হয়েছে। সেখানে এসএফআই, কিষাণ সভা-র মতো গণ সংগঠনগুলি দফতর খুলেছে।
এ বারের লোকসভায় কেরল, তামিলনাড়ুর যে তিন জন জিতে এসেছেন, তাঁরা সকলেই প্রথম বারের সাংসদ। ফলে তাঁরা বড় বাংলো পাবেন না। এত দিন মহম্মদ সেলিমের মতো অনেক বারের সাংসদ লোকসভায় ছিলেন বলে তাঁদের বড় বাংলো বরাদ্দ হয়েছিল। সাংসদরা নিজেরা সাংসদদের আবাসন ভিপি হাউসের ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁদের বাংলোয় অন্য নেতারা থাকতেন। এ বার সেখানেও সমস্যা।
পলিটবুরোর চার জন সদস্য— হান্নান মোল্লা, নীলোৎপল বসু, তপন সেন, এসআর পিল্লাই এখন ভিপি হাউসে থাকেন। চার জনই প্রাক্তন সাংসদ। বর্তমান সাংসদদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাটেই থাকেন তাঁরা। সিপিএমের দিল্লি রাজ্য কমিটিরও একটি অফিস রয়েছে ওই আবাসনে। তার পাটও এ বার গোটাতে হবে।
পার্টির সদর দফতর এ কে গোপালন ভবনের ওপরতলাতেও থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। সেখানে কর্মীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ দিতে আসা নেতাদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হয়। অগতির গতি হিসেবে এখন সিপিএমের সামনে হাজির হয়েছে নতুন সুরজিত ভবন। পার্টির স্কুল, ক্যাডারদের মতাদর্শগত প্রশিক্ষণের জন্য গোটা দেশ থেকে চাঁদা তুলে এই ভবন তৈরি হচ্ছিল। কাজ শেষ হলে সেখানেই জনা পাঁচেক নেতার থাকার বন্দোবস্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy