ভাঙচুর করা হয়েছে একটি দোকান। ছবি: পিটিআই।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ ও গুলিতে এক জনের মৃত্যুকে ঘিরে অশান্ত অসমের হাইলাকান্দি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত কাল থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। গুজব-প্ররোচনা ছড়ানো রুখতে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবাও। বন্ধ এটিএম পরিষেবাও। চলছে সেনা টহল।
পুলিশ গুলি চালনার কথা স্বীকার না করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ২৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের দেহে গুলি লেগেছে। মারা গিয়েছেন নারায়ণপুরের বাসিন্দা জে তপাদার (২৮)। জখম দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব বরাকে এই ঘটনার তদন্তের ভার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
পাশাপাশি, বরাক উপত্যকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বন ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ হাইলাকান্দিতে সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) মুকেশ অগ্রবাল, বরাক উপত্যকার কমিশনার আনোয়ারুদ্দিন চৌধুরি, বর্তমান সাংসদ তথা এআইইউডিএফ নেতা রাধেশ্যাম বিশ্বাস, স্থানীয় বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর, শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পালপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরিমলবাবু জানান, একদল উত্তেজিত জনতা ইভিএম বোঝাই স্ট্রং-রুমের দিকে রওনা দিলে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। মৃতের পরিবার আজ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পরিমলবাবু আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকের পরে তিনি জানান, ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত এসআইকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তদন্তে আরও কোনও পুলিশকর্মী দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ও জখমদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আপাতত, আগামী কাল পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিমলবাবু জানান, পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হলে কার্ফু ও ইন্টারনেটের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ডিজিপি কুলধর শইকিয়া জানান, পুলিশের সাইবার সেল সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর রাখছে। শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হলে যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রেন পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy