—ফাইল চিত্র।
পুরভোট মিটতেই বেজে গেল রাজ্যসভা নির্বাচনের দামামা। আগামী ৮ অগস্ট রাজ্যসভার নির্বাচন। এ রাজ্যের ৬টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে ওই দিন। তৃণমূলের চার সাংসদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। মেয়াদ শেষ হচ্ছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের এক জন করে সাংসদেরও। তবে রাজ্য বিধানসভার চেহারাটা বর্তমানে ঠিক যেমন, তাতে এ বার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিই তৃণমূলের দখলে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। বিরোধীদের পক্ষে একটির বেশি আসনে জয় পাওয়া কঠিন।
রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় শুরু হচ্ছে ২২ মে থেকে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত যে ৬ সাংসদের মেয়াদ এ বার শেষ হচ্ছে, তাঁরা হলেন দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সীতারাম ইয়েচুরি এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। এঁদের মধ্যে প্রথম চার জন তৃণমূলের। বাকি দু’জন সিপিএমের এবং কংগ্রেসের। এ বার যে হেতু ৬টি আসনে নির্বাচন, সে হেতু জিততে হলে প্রত্যেক প্রার্থীকে ন্যূনতম ৪২ জন বিধায়কের ভোট পেতে হবে। তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা বিধায়কের সংখ্যা যে হেতু ২১১, সে হেতু সোজাসাপ্টা হিসেবেই তৃণমূলের ৫ জন প্রার্থী ৪২টি করে ভোট পেয়ে যাবেন।
অবশিষ্ট একটি আসন বিরোধীদের ঝুলিতেই যাওয়ার কথা। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসা বিধায়কের সংখ্যা ৪৪। অর্থাৎ, স্বাভাবিক হিসেব অনুযায়ী ন্যূনতম ৪২টি ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস প্রার্থীর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মানস ভুঁইয়া, তুষারকান্তি ভট্টাচার্য, শম্পা দরিপা, হাসানুজ্জামান শেখ, কানাইয়ালাল অগ্রবাল, রবিউল আলম চৌধুরী-সহ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। অপূর্ব সরকার, আবু তাহেরদের মতো কয়েক জন বিধায়কের অবস্থান নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে রাজ্যসভার নির্বাচনে ঠিক কত জন বিধায়কের ভোট কংগ্রেস পেতে পারে, তা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব নিশ্চিত নন। ক্রস ভোটিংয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বামেদের আসন সংখ্যা আরও কম। সব মিলিয়ে ৩২ জন বিধায়ক বামফ্রন্টের। তাঁদের মধ্যে মালদহের এক বাম বিধায়ক আবার দল বদলে তৃণমূলে চলেও গিয়েছেন। ফলে আলাদা প্রার্থী দিয়ে জিতিয়ে আনা বামেদের পক্ষে আরও কঠিন।
আরও পড়ুন: সমতলে তিন পুরসভাই শাসকের দখলে! পাহাড়েও ঝান্ডা গাড়ল তৃণমূল
কংগ্রেস এবং বামেরা এ বারের রাজ্যসভা নির্বাচনে আলাদা আলাদা প্রার্থী না দিয়ে অভিন্ন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে বলেও জল্পনা রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। তবে সে সব এখনও সম্ভাবনার স্তরেই। কংগ্রেস ও বামেদের সমঝোতা হচ্ছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy