মানান ওয়ানি। —ফাইল চিত্র।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মানান ওয়ানি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ ভোর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার হান্দোয়ারায় হানা দেয় পুলিশ। শতগুন্দ এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা তিন জঙ্গিকে প্রথমে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। জবাবে গুলি চালায় জঙ্গিরা। মানান-সহ নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তিন জনেই হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য।
মানান ওয়ানি কুপওয়াড়ার টাকিপোরার বাসিন্দা। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী চলতি বছরের গোড়ায় জঙ্গি দলে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। কিছু দিন পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কালাশনিকভ রাইফেল হাতে ছবি প্রকাশ করে হিজবুলে যোগ দেওয়ার কথা জানান। মানানের এই খবরে চমকে গিয়েছিলেন বন্ধু ও পরিচিতরা। মানানের এক বন্ধু জানিয়েছিলেন, তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগ দেবেন বলেই তাঁরা ভেবেছিলেন। বছর পঁচিশের মেধাবী এই যুবক ভূ-তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতেন। তাঁর গবেষণা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বীকৃতি পেয়েছিল। মানানের বাবা-মাও এটা মানতে পারেননি। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। তবে মানান ফেরেননি। ফেসবুকে পর পর খোলা চিঠিতে জানান, কেন এই পথ বেছেছেন। ২০১৬ সালে নিহত জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানিকে দেখে যে তিনি অনুপ্রাণিত হন, সে কথাও জানিয়েছিলেন মানান। মানানের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy