দিল্লির বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীবাল। পিটিআই
চক্রব্যূহে ঢুকে পড়েছিলেন বটে, কিন্তু বেরোনোর রাস্তা পাচ্ছিলেন না অরবিন্দ কেজরীবাল। শেষে যাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সেই উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের রফাসূত্রেই ধর্না তুললেন কেজরীবাল। মুখরক্ষা হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।
গত কালই উপরাজ্যপালের বাড়িতে ধর্নায় বসা কেজরীবালের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে এ ভাবে ধর্নায় বসার অধিকার কে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। এ দিকে কেজরীবালদের অভিযোগ ছিল, বৈজলের উস্কানিতেই আমলারা গত চার মাস ধরে অলিখিত ধর্মঘট করে যাচ্ছেন। দিল্লি সরকারের দফতরের ডাকা বৈঠকেও না এসে মন্ত্রীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন তাঁরা। অচলাবস্থা কাটাতে ১১ জুন থেকে বৈজলের দফতরে বসে ধর্না শুরু করেন কেজরীবাল ও তাঁর তিন মন্ত্রী। এর মধ্যে গত কাল দু’জন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও মণীশ সিসৌদিয়াকে অনশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পরে সুস্থ হয়ে তাঁরা আর ধর্নাস্থলমুখো হননি। আপ সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতি থেকে কী ভাবে বেরোনো যায়, তার পথ খুঁজছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
যাঁর বিরুদ্ধে আমলাদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল, সেই উপরাজ্যপালই আজ এগিয়ে আসেন ত্রাতা হিসেবে। এ দিন দুপুরের পরে উপরাজ্যপাল বৈজল কেজরীবালকে বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কেজরীবাল নিজে ধর্নায় থাকায় উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেন। বিকেলে আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মণীশ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, দু’পক্ষের সন্ধি হয়েছে। কাল থেকে আমলারা রুটিন কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে আপ শিবির আমলাদের আশ্বাস দিয়ে জানায় মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের মতো কোনও ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। বৈজলের হস্তক্ষেপে কাজ হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কেজরীবাল। আট দিনের মাথায় ধর্না শেষ করে উপরাজ্যপালের দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: গৌরী খুনে মার ধৃতদের, রিপোর্ট চায় আদালত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy